নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধানে স্বজনদের মর্গে ছুটতে হচ্ছে কেন: জিএম কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। ফাইল ছবি
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, একদিকে সরকার বলছে ছাত্রদের যৌক্তিক সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে; অন্যদিকে এখনো কয়েকজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে এবং মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। আন্দোলনরত অনেক শিক্ষর্থীই গ্রেফতার এড়াতে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এটা সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের অভিযোগ-তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করেছে। তার শরীরের ক্ষতচিহ্ন এবং নির্যাতনের পৈশাচিকতার বর্ণনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিখোঁজ শিক্ষর্থীদের সন্ধান সরকারকেই দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন তার সন্তানের সন্ধান দাবি করেছেন। তিনি জানেন না তার ছেলে কোথায় আছে। এমনইভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদসহ আবু বারেক মজুমদার ও রিফাত মাহমুদেরও সন্ধান পাচ্ছেন না স্বজনরা। ছাত্ররা জানায়, সাধারণ ছাত্রদেরও অনেকেরই সন্ধান পাচ্ছে না তারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, স্বজনরা নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে হাসপাতালের মর্গে ছুটছেন।
জিএম কাদের বলেন, সরকারই স্বীকার করছে, ছাত্রদের আন্দোলন ছিল অহিংস। যদি তাই হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর নির্যাতন কেন? নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধানে স্বজনদের মর্গে ছুটতে হচ্ছে কেন? এমন হৃদয়বিদারক ও নিন্দনীয় ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে ঘটেছে বলে জানা নেই। তিনি বলেন, আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সাধারণ ছাত্রদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।