নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন নিহত
পাইলট জীবিত উদ্ধার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। শৌর্য এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ১৯ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন বিমানটির পাইলট। বুধবার দুপুরে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে উড্ডয়নের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স, বিবিসি, কাঠমান্ডু পোস্ট ও এনডিটিভি।
কাঠমান্ডুর পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটির পাইলটকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি চোখে এবং কপালে আঘাত পেয়েছেন। তাকে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রধান অর্জুন চাঁদ ঠাকুরি বলেন, বিমানটিতে ২ জন ক্রু ও ১৭ জন টেকনিশিয়ান ছিলেন। রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত কাজের জন্য তাদের নেপালের পোখারা শহরে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। রানওয়ের পূর্ব দিকের একটি মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে শুধু ক্যাপ্টেন এমআর শাক্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে ঘন ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। পৃথক প্রতিবেদনে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, পোখারাগামী এই ফ্লাইটটি টেকঅফের সময় রানওয়ের বাইরে ছিটকে পড়ার পর দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র সুবাস ঝা জানিয়েছেন।
নেপালে এ ধরনের বিমান দুর্ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশটি। ১৯৯২ সালে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় একটি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস কাঠমান্ডুর কাছে যাওয়ার সময় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬৭ জন নিহত হন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৭২ নিহত হন।