ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য কলেজছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
স্বামী আটক
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যৌতুকের দাবিতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্রী তানজিলা আক্তার তাহেরাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বামী জিসান আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। তানজিলার বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা তোবারেজ মোল্লা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বুধবার রাতে শহরের গঙ্গাবর্দী এলাকার মারকাজ মসজিদের পাশের ভাড়া বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে আত্মহত্যার চেষ্টা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিটন গাঙ্গুলি তানজিলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানজিলার মৃত্যু হয়। তাহেরা ফরিদপুরের ডোমরাকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের তোবারেজ মোল্লার মেয়ে। প্রায় ৫ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে সদরের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকার জাহিদ ফকিরের ছেলে জিসান আহমেদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
তোবারেজ মোল্লা বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের ওপর জিসান ও তার মা জবেদা বেগম নির্যাতন করত। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন জিসান নেশাগ্রস্ত ছিল। যৌতুক না পেয়ে সে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
জিসানের মা জবেদা বেগম বলেন, জিসান বাড়ির বাইরে একজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল। রাত ১০টার পরে সে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয় টাকা না নিয়েই। বাড়িতে গিয়ে সে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙে জিসান দেখতে পায় তানজিলা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন বলেন, জিসান ও তানজিলার মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। যৌতুকের জন্য তানজিলার ওপর নির্যাতন করা হতো। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে।