ছাগলকাণ্ডে মতিউর: তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে বহুল আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের তথ্য চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সংস্থার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের নামে পৃথক চিঠি পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মতিউরের পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। এছাড়া, মতিউর রহমানের স্ত্রী কানিজ লায়লার নামে থাকা নরসিংদীর ওয়ান্ডার ইকো রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট আপন ভুবনের তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব চিঠিতে তাদের নামে থাকা সম্পদের কেনাবেচা ও নামজারিসহ বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে। ২ জুলাই অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগে মতিউর ও তার দুই স্ত্রী ও ২ সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দেয় দুদক। দুদকের নোটিশে তাদের ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে ৪ জুন মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠন করা হয় তিন সদস্যের টিম। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনকে টিমের প্রধান করা হয়েছে।
এই বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, ‘মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’
৪ জুলাই মতিউর ও তার পরিবারের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট, একটি বহুতল ভবন ও ১ হাজার ২৭ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ঈদুল আজহার আগে বিতর্কিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন ধানমন্ডির তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। ছাগল কেনার টাকার উৎস ও পরিবারের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সামনে আসে এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর পরিবারের বিপুল সম্পদ।