Logo
Logo
×

শেষ পাতা

মেয়াদ আছে সাড়ে ৩ বছর

কেসিসি’র উন্নয়নে ৪৯১ কোটির মধ্যে মিলেছে দেড় কোটি!

Icon

নূর ইসলাম রকি, খুলনা

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কেসিসি’র উন্নয়নে ৪৯১ কোটির মধ্যে মিলেছে দেড় কোটি!

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অভিযোজনে নগর উন্নয়ন (ফেজ-২)’ এর উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এলজিইডি, কেসিসি এবং জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (কেএফডব্লিউ) যৌথভাবে এমওইউ স্বাক্ষর করে। প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদন হয় ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৯১ কোটি টাকা। যার মধ্যে কেএফডব্লিউ ৩১২ কোটি, সরকার ১৭৮ কোটি এবং কেসিসি ১ কোটি টাকা দেবে। প্রকল্পের মাধ্যমে কেসিসির আওতাধীন শহর রক্ষা বাঁধ, খাল খনন, ড্রেন সংস্কার, পাম্প মেশিন, স্লুইসগেটসহ ২৩টি পুকুর দৃষ্টিনন্দনভাবে পুনর্বাসনের প্রস্তাব রয়েছে।

প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর অর্থাৎ এই পাঁচ বছরের মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে নানা কারণে অর্থছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কার্যাদেশ ইতোমধ্যে দেড় বছর পার করেছে। বাকি সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে এত বড় প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। চলতি বছরের ১২ জুন এই প্রকল্পের প্রথম অর্থ ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। ৪৯১ কোটি টাকার প্রকল্পের মাত্র ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অর্থছাড় দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কনসালটেন্ট নিয়োগ না হওয়ার কারণেই দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও ছিল। কেএফডাব্লিউ’র কনসার্ন ছাড়া কোনো ফাইল নড়াচড়া হচ্ছিল না। এ কারণেই কার্যাদেশ শুরুর দেড় বছরের পর অর্থছাড় হয়েছে। তবে এবার খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেসিসি। সার্ভে, ডিজাইন এবং টেন্ডারের স্টেটমেন্ট তৈরির কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তীতে সময় বাড়ানো হবে।

কেসিসি’র সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর সোনাডাঙ্গা থেকে ময়ূরী ব্রিজের সড়ক ও ড্রেন, আলুতলা স্লুইসগেট উন্নীতকরণ, দৌলতপুরের বিএল কলেজ থেকে আকাক্সক্ষা ফ্লাওয়ার মিল অবধি শহররক্ষা বাঁধ এবং মহেশ্বরপাশা শ্মশান ঘাট নদীর ঘাট বাঁধাই, রূপসা বাস স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে নদীর পাড়ে পার্ক, নবীনগর এলাকায় ড্রেন সংস্কার ও উন্নীতকরণ, বাস্তুহারার ড্রেন সংস্কার ও উন্নীতকরণ, দেয়ানা চৌধুরী খাল খনন এবং পাড় বাঁধাই, লবণচরা খালের গেট ও পাম্প মেশিন স্থাপন, নিরালা খাল পুনঃখনন এবং নগরীর ২৩ পুকুর পুনর্বাসন করার প্রস্তাবনা রয়েছে। পুকুরগুলোর মধ্যে রয়েছে মহেশ্বরপাশা কবরস্থান পুকুর, বিএল কলেজ পুকুর, বাস্তুহারা পার্ক পুকুর, বাস্তুহারা কলোনি পুকুর, ওয়ান্ডারল্যান্ড পুকুর, খালিশপুর হাউজিং মার্কেট পুকুর, চরেরহাট স্কুল পুকুর, পিএমজি পুকুর, হরিজন কলোনি পুকুর, বয়রা হাইস্কুল পুকুর, সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড পুকুর, খালাসী মাদ্রাসা পুকুর, বানরগাতি বটতলার পুকুর, আলিয়া মাদ্রাসা পুকুর, তালতলা হাসপাতাল পুকুর, হাজী মালেক জান্নাতুল বাকি পুকুর ইত্যাদি।

কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও প্রকল্পের পরিচালক আবির উল জব্বার যুগান্তরকে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার ক্ষতি হ্রাস করা এবং অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করাই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য। নগরীর ৪টি খাল খনন ও পাড় বাঁধাই, ২৩টি পুকুর খনন করে সংরক্ষণ, দুটি স্থানে শহর বাঁধ নির্মাণসহ নানা কাজে প্রায় ৪৯১ কোটি টাকার বড় প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে। চলতি মাসেই আমরা অর্থছাড় পেয়েছি। প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম