Logo
Logo
×

শেষ পাতা

১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ, এবারও ভোটারখরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ, এবারও ভোটারখরা

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত ১৯ উপজেলায় রোববার ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের অন্য ধাপগুলোর মতো এবারও কেন্দ্রে তেমন ভোটার দেখা যায়নি। কিছু কেন্দ্রে এদিন সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। নানা অনিয়মের অভিযোগও এসেছে। ভোলার লালমোহনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ভোটগ্রহণে অনিয়মের দায়ে বরগুনার পাথরঘাটায় তিন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ১ হাজার ১৮০টি ভোট কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫ কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেখানে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৬০-৭০ শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন কমিশন আরও সন্তুষ্ট হতো। নির্বাচনে হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক।

ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল না। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে ভোট কম পড়ার এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটাররা তাদের ভোট যেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দিতে পারে। আমরা নির্বাচনে ভোটাররা যেন তাদের ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ বজায় রাখার ওপর বিশেষ করে জোর দিয়েছি। তিনি বলেন, দেখা গেছে, দুই-একটি দল ছাড়া কেউ রাজনৈতিক প্রতীকে অংশ নেয়নি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশ নিয়েছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, আজকে (রোববার) ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট চারজন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর। কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়। নির্বাচনে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে হয়, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

লালমোহনে সংঘর্ষ, ৫ জনকে কুপিয়ে জখম : ভোলা প্রতিনিধি জানান লালমোহন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। রোববার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের হাজী আব্দুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ইমরান, রিয়াজ, আলাউদ্দিন, মোখলেছুর রহমান ও মো. মামুন। আহতদের মধ্যে ইমরান ও রিয়াজের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাসান রিমনের সমর্থক। তাদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন পঞ্চায়েতের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব উল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাথরঘাটায় ৩ কর্মকর্তা আটক : বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি জানান, ভোটগ্রহণে অনিয়মের দায়ে বরগুনার পাথরঘাটার আমড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে এক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দুই পোলিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদেরকে কর্তব্যরত অবস্থায় আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আটকরা হলেন, পাথরঘাটা কে এম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন খান, পাথরঘাটার জালিয়াঘাটা এসইএসডিপি মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পোলিং অফিসার ঝুমুর রানী বিশ্বাস এবং কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পোলিং অফিসার রবিউল করিম। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, ওই তিন কর্মকর্তা একজন ভোটারকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের ব্যালট দেননি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম