সিলেটে টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গোটা নগরী। শনিবার রাতের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরীর বাসিন্দারা। এ নিয়ে ১৫ দিনে তিনবার পানিতে ডুবেছে সিলেট নগরী।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টির পানিতে নগরীর সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, কালীবাড়ি, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাগবাড়ি, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, যতরপুর, সোবহানীঘাট, তালতলা, উপশহর, দরগা মহল্লা, পীর মহল্লা, চৌহাট্টা, মেজরটিলা, শেখঘাট, বেতারবাজার, মিরাবাজারসহ পুরো এলাকার সড়কসহ ঘরবাড়ি ডুবে যায়। নগরীর প্রাণকেন্দ্র চৌহাট্টাও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া মিরাবাজার রোড, বিমানবন্দর সড়ক, ওসমানী মেডিকেল থেকে বর্ণমালা পয়েন্ট ও পাঠানটুলা সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও পানিতে ডুবে গেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে এমন জলাবদ্ধতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক বাসিন্দা। কেউ কেউ ঘরবাড়ি, দোকান ও রাস্তার ক্ষোভের কথা লিখেছেন।
গত ২৯ মে মধ্যরাত থেকে সিলেটের ১০টি উপজেলা ও নগরীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। পরে ২ জুন ফের বন্যা হয়। শনিবার রাতেও পানিতে তলিয়ে যায় নগরী। তবে কিছু কিছু জায়গায় বাসাবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও সুরমা নদী এখনো পুরোপুরি টইটম্বুর। তাই সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার দ্রুত কোনো সমাধান হচ্ছে না।
নগরীর মিরাবাজারের বাসিন্দা শাহিন মিয়া বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেন ব্যবস্থা ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন সিলেটের মানুষের লাখ লাখ টাকার মালামাল ও আসবাবপত্র ডুবিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। ভোর রাতের দিকে বাসাবাড়ি ও দোকানপাট থেকে পানি নেমে গেলেও মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিগত মেয়র হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছিলেন, যা জলে গেছে। এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য ড্রেনগুলো পরিষ্কার করলে সহজে পানি নেমে যেত। পানি নামার ড্রেনগুলো সংস্কার না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই নগরী তলিয়ে যায়।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন বলেন, শনিবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেটে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।