Logo
Logo
×

শেষ পাতা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সংকট

কুইক রেসপন্স টিম গঠনের সিদ্ধান্ত

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুইক রেসপন্স টিম গঠনের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য এতদিন পরস্পরকে দায়ী করে আসলেও এবার দুই সংস্থা বসেছে এক টেবিলে। পরস্পরকে দোষারোপ নয়; বরং নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায়, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কীভাবে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সেই উপায় খুঁজে বের করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ। সোমবার চসিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠনের সিদ্ধান্তও হয়। মেয়র এই টিমের আহ্বায়ক হিসাবে চউকের প্রধান প্রকৌশলীকে থাকার প্রস্তাব করলেও চউক চেয়ারম্যান প্রস্তাব করেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর নাম।

কুইক রেসপন্স টিম আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার তাৎক্ষণিক সমস্যা ও সংকট সমাধানে কাজ করবে বলে জানানো হয় সভায়।

সোমবার বিকালে চসিক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃদপ্তর সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে চসিক মেয়র এবং চউক চেয়ারম্যান ছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বর্ষা আসন্ন। আতঙ্ক বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুরসহ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আরও দুই মাস সময় আছে এই সময়ের মধ্যে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। খালের মাটি অপসারণ করতে হবে। কেউ বলতে পারবে না পানি উঠবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক পরিবর্তন আসছে। দুবাই শহর, নিউইয়র্ক শহরেও পানি উঠছে। আমাদের খাল গভীর করতে হবে। সেই মাটি উত্তোলন করা গেলে জনগণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। এর জন্য সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। লালখান বাজারের পাহাড়ের মাটি জিইসি মোড় পর্যন্ত চলে গেছে। ৩৬টি খালের কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের অবস্থা খারাপ। কোনোটা ভরাট হয়ে গেছে। কোনোটা বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে আমরা পরিকল্পনা করছি। মেয়র বে-টার্মিনাল নির্মাণের সময় যাতে উঁচু দেওয়াল তুলে নগরীর সৌন্দর্য ও সাগরের চেহারা ঢেকে ফেলা না হয় সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

চউক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, কর্ণফুলীতে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী অনেক আন্দোলন করেছেন। কিন্তু বিএনপির আমলে তার সেই আন্দোলনে পাত্তা দেওয়া হয়নি। পিলার সেতু হওয়ার কারণে চাক্তাই খালের মোহনা কর্ণফুলী নদীতে পলি জমে চর পড়ে গেছে। নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এখন সেই ভরাট মাটি যদি ড্রেজিং করা হয় তবে সেতুর পিলার ঝুঁকিতে পড়বে। উভয় সংকট চলছে। পাপের শাস্তি নগরবাসীকে পেতে হচ্ছে।

সমন্বয় সভায় জানানো হয়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬০ বর্গকিলোমিটারে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে চউক। ১২০ কি.মি. রিটেইনিং ওয়াল ও ৩৬টি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। যে সব কাজ শেষ হয়েছে তা সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হবে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের কাজের অগ্রগতি ও মতামত তুলে ধরেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম