এমভি আব্দুল্লাহ নোঙর করল দুবাই বন্দরে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পৌঁছেছে।
রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে সেখানেই নোঙর করে। রোববার রাত অথবা সোমবারের যে কোনো সময়ে জাহাজটিকে বন্দরের জেটিতে বার্থিং দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে কয়লা খালাসের কাজ। সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। জলদস্যুদের ডেরা থেকে মুক্ত হওয়ার ৮ দিন পর এমভি আব্দুল্লাহ গন্তব্যস্থল দুবাই পৌঁছাল।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, দুবাই সময় দুপুর আড়াইটা আর বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহ হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে। এরপর বন্দরের ‘বি অ্যাংকারেজ’ এলাকায় নোঙর করে এটি। এখন বন্দরের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে জাহাজটি, কখন বার্থিং দেওয়া হবে। সম্ভবত রোববার রাত অথবা সোমবার জেটিতে বার্থিং দেওয়া হতে পারে।
জাহাজের এক নাবিক জানান, জোয়ার শুরু হলে রাতের কোনো এক সময়ে জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানোর অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আব্দুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। ১২ মার্চ সোমালিয়ার মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ৩২ দিন পর ১৪ এপ্রিল সোমালি দস্যুরা জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয়।
জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নাবিকদের মুক্ত করার কথা বললেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৫৫ কোটি টাকা) মুক্তিপণ পাওয়ার পর দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে। এরপর এটি রওয়ানা দেয় হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে। জলদস্যুপ্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হওয়ার সময় জাহাজটিকে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে। জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। এর মধ্যে ২১ জন সেই জাহাজেই ফিরবেন। তাদের পৌঁছাতে ২৫-২৬ দিন সময় লাগবে। অপর দুই নাবিক দুবাই থেকে ফ্লাইটে দেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।