ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধর
পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় নায়িকা পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীর আইনজীবী। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ১৮ মার্চ প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। এরপর আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২৫ জুন পরীমনিকে আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করেন।
পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন মনির হোসেন। প্রতিবেদনে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শামছুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি ২০২১ সালের ৮ জুন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে। ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে ৩ লিটারের ব্ল– লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইচ্ছাপূর্বকভাবে অ্যাশট্রে ছুড়ে মারেন।
যার ফলে ডান কানের উপরে মাথায় আঘাত করে নিলাফুলা জখমসহ পরীমনির ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় নাসিরের বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্ক যুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল অ্যাশট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করেন। এবং বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে বাদী নাসির মাহমুদ পরীমনিকে সঙ্গে করে আনা সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকিকে বিবাদীদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বললে ৩নং আসামি পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে কিলঘুসি মারেন।
যার ফলে পরীমনি ও জিমির বিরুদ্ধে আনীত ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও ২ নম্বর আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অপরাধের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।