অভিজ্ঞ শ্রীলংকার বিপক্ষে তারুণ্যেই আস্থা বাংলাদেশের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দ্বৈরথ মানে উত্তাপ-উত্তেজনা। দুদলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই উত্তেজনার ছায়া পড়ে। সাম্প্রতিককালে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে কখনো কখনো অক্রিকেটীয় ঘটনা বড় হয়ে ওঠে। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের পর দুই শিবিরেই ইনজুরির ধাক্কা লাগে। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিশ্বকাপে ‘টাইমআউট’ নিয়েও হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। কথার লড়াই থামিয়ে এবার আরেকটি জমজমাট সিরিজের অপেক্ষা। টি ২০ ও ওয়ানডে সিরিজের পর এবার লাল বলের ক্রিকেট। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াচ্ছে। ম্যাচ শুরু হবে সকাল ১০টায়।
বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম শেষবেলায় ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। তার পরিবর্তে বুধবার রাতে নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়কে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে টিম ম্যানেজমেন্ট ছুটি দিয়েছিলেন শরীফুল ইসলামকে। টেস্টের আগে একদিনও অনুশীলন করেননি তিনি। একাদশে তার না থাকার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে প্রথম টেস্টে অভিষেক হতে পারে দুই তরুণ পেসার মুশফিক হাসান ও নাহিদ রানার। তাদের সঙ্গে রয়েছেন খালেদ আহমেদ। দুজনের অভিষেকের ব্যাপারে আগেরদিন আভাস দিয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সিলেটে গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। উইকেটেও কিছুটা পার্থক্য দেখা দিয়েছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো সিলেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। সেই তুলনায় শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হিসাবে দেখছেন কোচ। কাল হাথুরু বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। শ্রীলংকাকে হারাতে হলে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। ওদের ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। কয়েকজনের একশর বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত নভেম্বরের সেই স্মরণীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আঙুলের চোটে তিনি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। সিরিজে নেই সাকিব আল হাসান। মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাসরা থাকলেও দুদলের তুলনায় বাংলাদেশ অনভিজ্ঞ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস খেলেছেন ১০৭ টেস্ট, দিমুথ করুনারত্নে ৮৯ ম্যাচ এবং দিনেশ চান্দিমাল খেলেছেন ৭৭ টেস্ট। তিনজন মিলে মোট ২৭৩টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে বাংলাদেশের সব খেলোয়াড় মিলে খেলেছেন ২৭০ ম্যাচ। তবে অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও তরুণদের ওপর আস্থা রাখছেন কোচ।
এদিকে টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়া হাসারাঙ্গার হঠাৎ প্রত্যাবর্তন নিয়ে ছিল গুঞ্জন। নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সফরের পর বিশ্বকাপের আগে শ্রীলংকার আর কোনো সিরিজ নেই। এ কারণেই নিষেধাজ্ঞার ম্যাচগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে রেখেই শেষ করতে চেয়েছে শ্রীলংকা, এমন অভিযোগ উঠেছে। আইসিসিও খোঁজ নিচ্ছে। শ্রীলংকা ক্রিকেট জানিয়েছে, এমন কোনো ঘটনা হয়নি। ওয়ানডে সিরিজ হারানোর পর তারা টেস্ট জিততে মরিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা আত্মবিশ্বাসী। লংকান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য টেস্ট সিরিজ জয়। এখানে কন্ডিশন কোনো ব্যাপার নয়, বিষয়টি খেলার ধরন নিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো ম্যাচ হবে।’