শেবাচিমে কমিটি গঠনের জের
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট, সেবা ব্যাহত
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের একাংশ ধর্মঘট ডেকেছে। এতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় হাসপাতালের ৯টি ইউনিটে চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসাধীন দুই হাজার রোগী দুর্ভোগে পড়েছেন। হাসপাতালটির ১৯০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পালাক্রমে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করেন।
এদিন ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটি দুটির পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা সেবা বন্ধ করে দেন। তবে নবগঠিত কমিটির সমর্থকরা দায়িত্ব পালন করায় মেডিসিন ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিট সচল রয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য ঘোষিত কমিটির সহসভাপতি ডা. সাদমান বাকির সাবাব বলেন, ঘোষিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির পদধারী ১৮ জন কমিটির বিপরীতে অবস্থান করছেন। তাই কমিটির গ্রহণযোগ্যতা থাকার প্রশ্নই আসে না। কমিটির সভাপতি বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেবায় ফিরবেন না। ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশসের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন দাবি করেন, তাদের কমিটি সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যারা আন্দোলন করছেন তারা সভাপতি-সম্পাদক পদ চাচ্ছেন। যোগ্যতার বিচারে কমিটি হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসকরা কমিটির নেতৃত্ব মেনে কাজ করছেন। চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রেজা তৈমুর মাহমুদ বলেন, সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর সুপারিশে কমিটি হয়েছে। হাসপাতাল পরিচালক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদনের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কমিটির বিরোধিতাকারী একটি পক্ষ ধর্মঘটে গেলেও সাধারণ চিকিৎসকরা তাতে সাড়া দেননি। একই সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এহসান শাহরিয়া বলেন, সিটি মেয়রকে ভুল বুঝিয়ে সুপারিশ আনা হয়েছে। এতে মদদ দিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। আমরা এ পকেট কমিটি মানি না। দাবি আদায়ে মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, সিটি মেয়রের সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে কমিটির সমর্থক চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।