চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়
মজুমদার নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত মাসে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। নিয়মিত অধিনায়ক হিসাবে তার নেতৃত্বে সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রথম টি ২০ সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। ২-১ এ লংকানরা জিতেছে সেই সিরিজ। এবার চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলংকার মুখোমুখি বাংলাদেশ। আজ বেলা আড়াইটায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু প্রথম ম্যাচ। অধিনায়ক হিসাবে এটা শান্তর প্রথম ওয়ানডে। ঘরের মাঠে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। ব্যতিক্রম ছিল ২০২৩ সাল। ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ঘরের মাঠে মাত্র একটি সিরিজ হারলেও গত বছর হাতছাড়া হয়েছে তিনটি সিরিজ। তাই এখন নিজেদের মাঠেও সিরিজ জয় চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে কি না, শান্তকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল চট্টগ্রামে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। জবাবে নতুন অধিনায়ক প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর।
‘সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আন্তর্জাতিক যে কেনো দলের বিপক্ষে খেলার আগে চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। একটা বছর খারাপ যেতেই পারে। আমরা কীভাবে একটা টিম হিসাবে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, বছরটা ভালোভাবে শুরু করি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমরা ভালোমতো প্রস্তুত,’ বলেন শান্ত।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এক ম্যাচ ভালো খেললে আমরা ভালো দল হয়ে যাই, আবার এক ম্যাচ খারাপ খেললে খারাপ দল। অতীতে এমনটি হয়েছে। হারি কিংবা জিতি দল হয়ে খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সেটা পেরেছি, সেখানে আমরা সব ম্যাচ জিততে চেয়েছি।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন সৌম্য সরকার। ওই সিরিজে ১৬৪ রান করেন তিনি। সৌম্য চট্টগ্রামে খেলার সুযোগ পেলে তার কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন শান্ত। এ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-সব কিছুতেই ওর (সৌম্য) কাছে শতভাগ চাই। অনেকদিন পর কামব্যাক করল। তিনটা ম্যাচই তো খেলেছে, একটা বড় ইনিংস খেলল মাশাআল্লাহ। সৌম্যর একার কথা বলব না, প্রত্যেক ব্যাটারেরই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রয়োজন আছে। সৌম্য ও প্রত্যেক ব্যাটার এ নিয়ে কাজ করছে। লাস্ট সিরিজ যদি চিন্তা করা যায়, ওরকম কন্ডিশনে বড় ইনিংস খেলা আমাদের টিমের জন্য বড় ব্যাপার। ও যদি ওর জায়গায় ব্যাটিং করার সুযোগ পায় তাহলে ভালো করবে।’
একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম, এমন আভাস দিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘গত সিরিজে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এখন সাকিব ভাই নেই। দলের কম্বিনেশনে একটু এদিক-সেদিক করতে হয়। উনি থাকলে একাদশ সাজানো সহজ। এসব মাথায় রেখেই ব্যাটিং অর্ডার সাজাব। তবে আশা করব ব্যাটিং অর্ডারে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না।’