নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা
আমতলী পৌরসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
নরসিংদীর রায়পুরায় আহত ৩
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পৌর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বরগুনার আমতলীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে বিজয়ী ও পরাজিত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। আর এদিন দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরায় একটি ইউনিয়ন পরিষদে উপনির্বাচনের পর সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
আমতলী (বরগুনা) : শনিবার আমতলী পৌরসভা নির্বাচন হয়। এতে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান জয়লাভ করেন। আর হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে নাজমুল আহসান খান হেরে যান। নির্বাচন নিয়ে রাতে মতিয়ার রহমানের সমর্থক সবুজ খান এবং নাজমুল আহসান খানের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রোববার সকালে সবুজ খান ও তার লোকজন রাসেদ খানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এর আধা ঘণ্টা পর রাসেদ খান লোকজন নিয়ে সবুজ খানের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়পুরা (নরসিংদী) : শনিবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপনির্বাচন হয়। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে হারুন মোল্লা টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আর ফুটবল প্রতীকে মো. নোয়াব মিয়া পরাজিত হন। রোববার বিজয়ী হারুন মোল্লা সমর্থকদের নিয়ে বিজয় মিছিল বের করেন। এ সময় পরাজিত নোয়াব মিয়া ও তার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই মিছিলে অতর্কিত হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।