টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
পুলিশ দিয়ে বাজারের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমরা কখনই পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাজারের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না। বাজারে যদি সাধারণ গতি থাকে, সুষ্ঠুভাবে চলে, আমি বিশ্বাস করি ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়া যাবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। তবে সেটা না হলে সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেব। আর এস আলমের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো কারণে বাজারে চিনির সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। রমজান মাস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দ্বিতীয় পর্বের পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড় পলিটেকনিক মাঠে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের বলছি, তারা যেন সংকটের অপচেষ্টা না করেন। পত্রপত্রিকায় আমি দেখছি দু-এক জায়গায় চিনির দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। বিক্রেতারা কেউ যেন সেটা না করেন। কারণ মিলগেটে চিনির দাম এক টাকাও বাড়বে না। দেশের উৎপাদনকারীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, কিছু সুবিধাভোগী লোক আছে যারা সবসময় বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলোকে অজুহাত বানিয়ে মুনাফা করতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে। শিগগিরই নতুন করে টিসিবি ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শুরু করা হবে। ফ্যামিলি কার্ডধারীরা অনেকে মারা গেছেন, অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। যে কারণে নতুন করে টিসিবির ডিজিটাল কার্ড হালনাগাদ করা হচ্ছে। আমরা এমপি, ডিসি ও অন্য প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছি এ তালিকা শিগগির দেওয়ার জন্য।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির পণ্য কিনতে অনেকের সারাদিনের কাজ নষ্ট হয়, দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। আমরা প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ডিলারদের নির্দিষ্ট দোকান করার চেষ্টা করছি। যেখান থেকে মানুষ নিজের সুবিধামতো সময়ে পণ্য কিনতে পারবেন।’
এদিকে রোজা উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় চার পণ্য-চাল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি শুরু করছে টিসিবি। ফলে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারছেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনির দাম বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও রমজান মাসের কথা চিন্তা করে আগের মূল্য ৭০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।