তিন দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র
রাশিয়ার ৬ কারা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্যের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তিন দেশের ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশগুলো হলো-রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশ। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সংগ্রহে সহায়তা এবং ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ছয় ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাদের সম্পদ আটকে দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও এএফপির।
বেলজিয়াম ইইউ-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট। সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বেলজিয়াম বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কর্মকাঠামোর আওতায় ১৩তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনে ইইউ রাষ্ট্রদূতরা নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
ইইউ-এর নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। নতুন এ তালিকায় রাশিয়ার সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউক্রেন থেকে শিশুদের পাচার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশের একটি করে প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এর আগে গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি বলেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়া কয়েক শ এতিম শিশুকে অনথালয় এবং কেয়ার হোম থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া অনেককে দত্তকও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রাশিয়ার কারা কর্মকর্তারা আর্কটিক পেনাল কলোনির দায়িত্বে ছিলেন। যেখানে বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি মারা গেছেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন না। পশ্চিমা নেতারা বলছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ কর্তৃপক্ষ দায়ী। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন বলেন, যারা নাভালনির প্রতি নৃশংস আচরণে জড়িত, তাদের ক্ষমা নেই। আমরা তাদের জবাবদিহি করব। ব্রিটিশ সরকার নাভালনির লাশ দ্রুত তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
নাভালনির মায়ের যে চাওয়া, তা যুক্তরাজ্যের আহ্বানে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ওই নারীকে মঙ্গলবারও কারাগারের বাইরে দেখা গেছে। ছেলের লাশ পাঁচদিন ধরে দেখতে চাইছেন তিনি। এখনো মা জানেন না তার ছেলের লাশ কোথায় আছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন ওই কারাগারের প্রধান কর্নেল ভাদিম কনস্টান্টিনোভিচ কালিনিন, উপপ্রধান লে. কর্নেল সের্গেই নিকোলাভিচ, উপপ্রধান লে. কর্নেল ভ্যাসিলি আলেকজান্দ্রোভিচ ভিড্রিন, উপপ্রধান লে. কর্নেল ভ্লাদিমির ইভানোভিচ পিলিপচিক, উপ-প্রধান লে. কর্নেল আলেকজান্ডার ভ্লাদিমিরোভিচ গোলিয়াকভ, উপপ্রধান আলেকজান্ডার ভ্যালেরিভিচ ওব্রেজটসভ।