Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জাবির মীর মশাররফ হোসেন হল

ছাত্রলীগ নেতার টর্চার সেল ৩১৭ নম্বর কক্ষ

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছাত্রলীগ নেতার টর্চার সেল ৩১৭ নম্বর কক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান থাকেন মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে। তার অনেক অপকর্মের সাক্ষী এই কক্ষটি। চাঁদা বা মুক্তিপণের দাবিতে এখানেই আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।

শনিবার সন্ধ্যার পর বহিরাগত এক ব্যক্তিকে এই রুমেই আটকে রেখে হলের পাশের জঙ্গলে নিয়ে তার (ব্যক্তি) স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন মোস্তাফিজ ও তার সহযোগীরা। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে ৬ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ২৪টি লেগুনা হলের সামনে আটকে রাখেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান ও অন্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া হলের রাস্তা, হল সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিএন্ডবি এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গেও তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সিএন্ডবি, ডেইরি গেট ও হলের সামনের দোকানগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত ছাত্রলীগের এক নেতা। গত বছরের ২১ মার্চ মীর মশাররফ হোসেন হলের অতিথিকক্ষে এক জুনিয়র ছাত্রকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেন এক ছাত্রলীগ নেতা।

এই কক্ষে আশুলিয়া থানার একজন পুলিশ কনস্টবলকে আটকে রেখে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সমঝোতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন যুগ্ম-সম্পাদক বলেন, হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষটিকে মোস্তাফিজ ও তার সহযোগীরা টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহার করতেন। ওই কক্ষে তারা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন। এছাড়া সিএন্ডবি, ডেইরি গেট ও হলের সামনের দোকানগুলো থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাদের অত্যাচারে হলের সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দোকানদাররা অতিষ্ঠ। জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ছাত্রলীগে অপরাধী ও আদর্শচ্যুত নেতাকর্মীদের কোনো জায়গা নেই। শনিবার রাতে মোস্তাফিজ জঘন্য কাজ করেছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সে অপরাধী। আমরা চাই ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

মূল অভিযুক্তকে পালাতে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, শনিবার সকালে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। রাত ১টায় ক্যাম্পাসে আসি। তাই সহায়তাকারী কারও সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগ নাই। ক্যাম্পাসে আসার পর প্রশাসন আমাকে দায়ীদের ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করার কথা জানায়। সেজন্য আমি হলের সবাইকে ফোন দিয়ে অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে বলেছি। ধর্ষকের কোনো দল নাই। এছাড়া শাহ পরানের সঙ্গে আমার কাল থেকে আজ পর্যন্ত যোগাযোগই হয়নি। হলের কক্ষকে টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। হলটি অনেক বড়। এর পুরো খোঁজ রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম