টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ‘৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ’ শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ বিতর্ক সভায় (জেনারেল ডিবেট) তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সমতা ও মানবিক মূল্যবোধের বাণী এখনো প্রাসঙ্গিক। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলো শক্তিশালী দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে আরও সক্ষম হবে। একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেন ড. হাছান মাহমুদ। এর মধ্যে রয়েছে-টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়নে আরও কার্যকর পদক্ষেপ, বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামো সংস্কার, প্রযুক্তিগত বিভাজন মোকাবিলা, নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী উন্নয়ন নীতির ফলে গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় দেশগুলো, ইসরাইল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া এশিয়া মহাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বাদে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে দক্ষিণ বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন সম্মেলনের নতুন চেয়ার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস, চীনের প্রেসিডেন্টে বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং ২য় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।