পিবিআই কর্মকর্তার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন
সাক্ষীর জবানবন্দি গায়েব
বরিশাল ও মিরপুরে ‘মৃত’ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে খুইয়েছেন সব, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন যুবক * আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে গোপন রাখা হয় বাদীপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ
মাহমুদুল হাসান নয়ন
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশালে গৌরনদীর প্রকৌশলী মুনসুর আলী সরদার। কাজ করতেন টিএন্ডটি বোর্ডে। গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান ৩০ বছর আগে। রাজধানীর মিরপুরে ছয়তলা একটি বাড়ি করেন। অবসরে গেলে সন্তানরা তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচার হয় তিনি মারা গেছেন। অথচ এ সময়ে মুনসুর আলী সরকারের যুগ্মসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের কর্মকর্তা পরিচয় দিতে থাকেন।
প্রতারণা করে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন অর্থ। এমনই এক প্রতারণার ঘটনায় রাজধানীর ভাটারায় তিনিসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তকালে মূল দুই সাক্ষীর দেওয়া জবানবন্দি গায়েব করেন তদন্ত কর্মকর্তা। নিজের মতো বক্তব্য সাজিয়ে সাক্ষীর নামে চালিয়ে আদালতে উপস্থাপন করেন। বাদীর দেওয়া অনেক তথ্যও গোপন করেন।
এমন অসংখ্য অসংগতিপূর্ণ বিষয় রেখে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। যুগান্তরের অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
মুনসুর আলীর প্রতারণার অন্যতম ভুক্তভোগী ফয়সাল আহমেদ। তিনি ঢাকা বার কাউন্সিলের শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তার থেকে ডটলিংক পাওয়ার টেকনোলজি নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলে এবং চাকরির ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন মুনসুর।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে মুনসুরসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন পিবিআই-এর উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসিম হাসান। চলতি বছরের ৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।
এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন ভুক্তভোগী ফয়সাল। পাশাপাশি ৩ আগস্ট পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগী ফয়সাল সেখানে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ছলচাতুরী, অস্বচ্ছতা, পক্ষপাতিত্ব, তদন্ত কর্মকর্তার ঘুস দাবিসহ নানা বিষয় উল্লেখ করেন। অভিযোগের সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রমাণাদিও যুক্ত করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর গুরুতর অভিযোগগুলো তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে যুগান্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সন্তানদের কাছে প্রতারিত হয়ে বাবা মুনসুর প্রতারণায় জড়ান। সন্তানরা সব জেনেও বাবাকে না থামিয়ে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাটারা এলাকায় প্রতারণার মামলা দায়েরের পর গত বছরের ২১ জুন রাতে তিনি রংপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে পরিচয় গোপন করে আশ্রয় নেন।
সেখানে আড়াই মাস পর পলাতক অবস্থায় গত বছরের ৩০ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। অথচ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মিরপুর সেকশন-৬-এর সংরক্ষিত তথ্যভান্ডারে, ব্লক-ডি-এর হোল্ডিং নং-৫ ও ৬-এর মালিকানার তথ্যে মুনসুরকে অনেক আগেই মৃত দেখানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে, চাকরির সুবাদে মুনসুর ১৯৯০ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে প্লটটি বরাদ্দ পান।
২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল বাবাকে মৃত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তিন সন্তান তাদের নামে জমির মালিকানা নিয়ে নেয়। সেখানে এখন বহুতল ভবন হলেও এটিকে টিনশেড হিসাবে দেখানো হয়েছে। সম্পদের দখলকারক হিসাবে তার তিন সন্তান মহিউদ্দিন আহম্মেদ, রাজিব আহম্মেদ ও কন্যা ফারজানা আহম্মেদের নাম রয়েছে। পিতার নামের জায়গায় ‘সর্বপিতা মৃত সরদার মনসুর’ উল্লেখ আছে।
বরিশালের গৌরনদীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুনসুরের গ্রামের বাড়ির বেশির ভাগ মানুষই জানতেন তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। এজন্য ফের মৃত্যুর খবরে স্থানীয়দের অনেকেই হতবাক হন। এ বিষয়ে চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ২০ বছরের মধ্যে প্রকৌশলী মুনসুর এলাকায় আসেননি। মৃত্যুর পর এলাকায় তার লাশ পাঠানো হয়। সেখানে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের কেউই আসেনি। এরপর কোনো স্বজন ছাড়াই সম্পন্ন হয় তার দাফন।
৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রনি সিকদার যুগান্তরকে বলেন, মুনসুর সরদার মারা যাওয়ার অনেক আগে থেকেই এলাকার মানুষ তাকে মৃত বলেই জানতেন। ছেলেমেয়েরা বাড়ি দখল করে তাকে বের করে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভিন্ন সময়ে মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার পরিবারের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে যুগান্তর।
মহিউদ্দিনের মিরপুরের বাসার ঠিকানায় গিয়েও বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তাদের কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
এর মধ্যে একটি নম্বর থেকে এক নারী ফোন রিসিভ করে অভিযোগের বিষয়ে তাকেই বলতে বলেন। তিনি মহিউদ্দিন আহমেদের হয়ে কথা বলছেন বলেও জানান। তবে পরিচয় দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, তিনি (মুনসুর) মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। বাবাকে মৃত দেখিয়ে জমির মালিকানার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে মামলা চলছে, মামলাই কথা বলবে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে মুনসুর ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী ফয়সালকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ নিয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়ারি (জিডি) করেন। অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিলেও বিলম্ব করতে থাকেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এসব ঘটনায় সহযোগিতা চেয়ে পিবিআই-এর দায়িত্বরত পুলিশ সুপারের কাছে বারবার গিয়েও প্রতিকার পাননি।
এর মধ্যে আসামিরা ভুক্তভোগী ফয়সালকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। পরে চলতি বছরের ৫ মে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। ফয়সালের অভিযোগ, পিবিআই প্রধানের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা আরও ক্ষিপ্ত হন।
তাকে খারাপ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। এরপরও বারবার প্রতিবেদনের বিষয়ে খোঁজখবর নিলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে প্রতিবেদনের সব ধারা প্রমাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথা অনুযায়ী কাজ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কেবল এক আসামি ছাড়া অন্যদের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়ে প্রতিবেদন দেন।
ফয়সাল জানান, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দুই সাক্ষীর প্রকৃত জবানবন্দি গায়েব করে দেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসিম হাসান। সাক্ষীরা জানান, নিজের মতো করে সাক্ষ্য সাজিয়ে আদালতে দাখিল করেন। তারা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু আদালতে সেগুলো উপস্থাপন করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসিম হাসান যুগান্তরকে বলেন, তদন্তে যা পেয়েছি, সেভাবেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য পরিবর্তন, মামলার বাদীর পক্ষের তথ্যপ্রমাণ গোপনের অভিযোগ সত্য নয়। আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকাও দাবি করিনি। বাদীর চাওয়া অনুযায়ী প্রতিবেদন না দেওয়ায় হয়তো ক্ষোভ থেকে তিনি এ ধরনের অভিযোগ করছেন।
যুগান্তরের হাতে আসা সাক্ষীদের দেওয়া লিখিত জবানবন্দি এবং আদালতে দেওয়া জবানবন্দির মধ্যেও বিস্তর পার্থক্য পাওয়া গেছে। মামলার প্রথম সাক্ষী জুল ইকরাম সাকিব (১৯) এবং দ্বিতীয় সাক্ষী জাহিদ হাসান (১৯)। প্রথম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাতে লেখা ছয় পৃষ্ঠার একটি জবানবন্দি দেন। যেখানে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী ফয়সাল ৩০ হাজার টাকা বেতনে মুনসুরের কোম্পানিতে ‘ডিরেক্টর’ হিসাবে কাজ করতেন।
মুনসুরের কাছে ফয়সালের পাওনা ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া জবানবন্দিতে বলা হয়, মুনসুর ও ফয়সালকে ১নং সাক্ষী (সাকিব) মালিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছেন। কেবল তাই নয়, প্রতারকের কাছে পাওয়া টাকার অঙ্ক গোপন করে ‘অনেক টাকা পায়’ বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাক্ষ্যদাতা জুল ইকরাম সাকিব যুগান্তরকে বলেন, আমি যেই জবানবন্দি দিয়েছি, তা পরিবর্তন করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে অনেক জায়গায় সত্য গোপন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত হলে আমি সত্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
দ্বিতীয় সাক্ষী জাহিদ হাসান প্রতারক মুনসুরের নামসর্বস্ব ডটলিংক পাওয়ার টেকনোলজি কোম্পানির মার্কেটিং অফিসার ও আইটি সহকারী হিসাবে যোগ দেন। মুনসুর তার বেতন ধরেন ১৫ হাজার টাকা। ভুক্তভোগী ফয়সাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলেও উল্লেখ করেন। অথচ আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনের সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা নিজের মতো করে দেওয়া জবানবন্দিতে সাক্ষীর এ বক্তব্যগুলো সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জাহিদ হাসান যুগান্তরকে বলেন, আমি পিবিআইতে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যেই সাক্ষ্য দিয়েছি, তা অনেক জায়গায় পরিবর্তন করে আদালতে দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসাবে আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে রুপা হানুফা (৪০) নামের একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে তাকে বাদীর বাসার কাজের মহিলা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় তিন ব্যক্তি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন, এই নারী মূলত পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকা মুনসুর, আরেক আসামি ওই ভবনের বাড়িওয়ালাসহ আরও তিন আসামির বাসায় কাজ করতেন।
যুগান্তরের হাতে আসা একটি ভিডিওতেও রুপাকে মুনসুরের বাসায় কাজ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে রুপা হানুফা যুগান্তরকে বলেন, তিনি মুনসুর ও বাড়িয়ালা আব্দুর রাজ্জাকের বাসায় কাজ করতেন। তিনিও মুনসুরের কাছে ২৫ হাজার টাকা পাবেন।
এছাড়া প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, তিনি অনুসন্ধানে পেয়েছেন মামলার ৮নং আসামি বাড়িওয়ালা আব্দুর রাজ্জাক জোয়ারসাহারার ক-১৯০/এ ভবনের ৩-এ ফ্ল্যাটে থাকেন। অথচ ভাটারা থানায় সংরক্ষিত ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরমে মো. বিল্লাল হোসেন এবং ফয়সাল আহমেদের বাসার ঠিকানা হিসাবে এ ফ্ল্যাটটি উল্লেখ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, বাড়িওয়ালা এই ফ্ল্যাটে থাকেন না।
এসআই নাসিম হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ভুক্তভোগী ফয়সালের অভিযোগ তদন্ত করছেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. আক্রাম হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, মামলার তদন্ত নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে বাদী অন্য কোনো সংস্থায় যেতে পারেন। সাক্ষীদের এ বিষয়ে আরও কিছু বলার থাকলে সেটি আদালতে বলতে পারেন। তদন্ত কর্মকর্তা কোনো অনৈতিক কাজ করেছেন কি না-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স শুধু এই অংশটুকোই তদন্ত করবে। তবে তদন্ত কর্মকর্তা যদি বাদীকে কোনো অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে থাকেন-এমন কিছু প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী ফয়সাল আহমেদের অভিযোগ, তাকে ভুঁইফোঁড় কোম্পানি ডটলিংক পাওয়ার টেকনোলজির মালিক প্রমাণেই তদন্ত কর্মকর্তা এই কাজগুলো করেছেন। প্রতারণায় ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামতও গায়েব করে দেওয়া হয়। যাতে মুনসুর, বাড়িওয়ালাসহ অন্য আসামিদের সহজে দায়মুক্তি দেওয়া যায়। তাছাড়া অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর ঘনিষ্ঠতা প্রমাণে তাদের একই ফ্ল্যাটে বসবাস ছিল-এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। আসামিদের থেকে মোটা অঙ্কের নগদ অর্থের বিনিময়ে আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ জবানবন্দি থেকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।