Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ভূমিহীনদের জমি সচ্ছলদের পেটে

সুগন্ধাচরের শত বিঘা জমি ভাগাভাগি

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: ‘ভূমিহীনরা জমি পাবে কীভাবে, তারা কি টাকা খরচ করতে পারে? জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় টাকা খরচ করতে হয়েছে’ -অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ছেলের দম্ভোক্তি * বন্দোবস্ত বাতিল হলে রেজিস্ট্রিও বাতিল হয়ে যাবে-সাবরেজিস্ট্রার

Icon

নেসারুল হক খোকন

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সুগন্ধাচরের শত বিঘা জমি ভাগাভাগি

ঝালকাঠি জেলায় ভূমিহীন রয়েছে প্রায় ৮০০ পরিবার, যাদের কোনো ঘরবাড়ি নেই। সরকারি তালিকায় তারা হতদরিদ্র। অথচ জেলার অন্যতম প্রাচীন এলাকা নলছিটি উপজেলায় জেগে ওঠা চরের শত বিঘা জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে সচ্ছলদের।

নিয়মানুযায়ী এ জমি ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে নামে-বেনামে ভূমিহীন সনদে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতীরে জেগে ওঠা বিপুল পরিমাণ জমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

এমনকি ভূমিহীনের জাল সনদ প্রস্তুতকারী আরেক ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের নামেও জমি বন্দোবস্তের নথিপত্র পাওয়া গেছে। তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু হাসনাত আরেফিন কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই জেলা প্রশাসকের পক্ষে বন্দোবস্ত দলিলে স্বাক্ষর করেন। বিষয়টিকে রহস্যজনক বলেছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি ওয়েবসাইটের তালিকায় থাকা ঝালকাঠি জেলার হতদরিদ্র ৮০০ জনের মধ্যে বন্দোবস্ত পাওয়া কারও নাম নেই। এমনকি সুগন্ধা নদীতীরে জমিসংলগ্ন সুজাবাদ, মেরহার, কাঠিপাড়া ও কড়ুয়াকাঠি গ্রামে বসবাসকারী নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কারও নামই এ বন্দোবস্ত তালিকায় নেই।

জানতে চাইলে মগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম (আমীন কাজী) যুগান্তরকে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নামে চারিত্রিক সনদপত্রের প্যাডে ভূমিহীনের জাল সনদ বানানো হয়েছে। এরপর ভূমিহীনদের জমি সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান গোপনে পরিবারসহ তার লোকজনদের নামে বন্দোবস্ত নিয়েছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিই। এরপর তৎকালীন ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগের কথা বললেও রহস্যজনক কারণে আর আগায়নি।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত করলে এ বন্দোবস্ত টিকবে না। কারণ, এখানে জমি বরাদ্দের নামে যা হয়েছে, সবই প্রতারণা। গুরুতর এ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

ভূমিহীনের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান প্রথমে জাল সনদের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তাহলে কীভাবে নিজের দুই ছেলেসহ নিকটাত্মীয়দের নামে ভূমিহীনের জমি বরাদ্দ পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, কথা বলতে পারছি না।’ তবে তার ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘শুধু আমরা নই, জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিভিন্ন নামে চরের এ জমি নিয়েছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়া করতেই অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা বলব না। আর ভূমিহীনরা জমি পাবে কীভাবে, তারা কি টাকা খরচ করতে পারে?’

জানতে চাইলে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত এসি ল্যান্ড ও ইউএনও বর্তমানে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব আবু হাসনাত আরেফিন যুগান্তরকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আগের কথা, মনে করতে পারছি না। নথিপত্র না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একপর্যায়ে প্রতিবেদক আবু হাসনাত আরেফিন স্বাক্ষরিত বন্দোবস্ত নথিপত্রের কয়েকটি তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এরপর আবু হাসনাত আরেফিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক না।’

এদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম যুগান্তরকে বলেন, ‘শত বিঘা জমি এভাবে বন্দোবস্ত নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ হাতে পেলে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাকে দুভাগে ভাগ করেছে সুগন্ধা নদী। প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর এক পাশে নলছিটি পৌরসভা, অপর পাশে উপজেলার মগর ইউনিয়ন। এই মগর ইউনিয়নেই রয়েছে সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় ছেলে শাহ সুজার নামানুসারে ঐতিহাসিক সুজাবাদ গ্রাম। তার পাশেই কাঠিপাড়া, কড়ুয়াকাঠি, মেরহার ও মগর গ্রাম।

নদীসংলগ্ন এসব গ্রামের বিশাল একটা অংশ নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। কয়েক বছরের মধ্যে নদীর অপর প্রান্তে চর জাগে। নলছিটি পৌরসভা এলাকায় জেগে ওঠা চরের এ জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুজাবাদ ও আশপাশের গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন বন্দোবস্ত পাওয়ার কথা। অথচ ২০১২-২০১৩ সালে ভূমিহীনদের কথা বলে বন্দোবস্ত হওয়া এ তালিকায় প্রকৃত ভূমিহীন বা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কারও নাম পাওয়া যায়নি।

ভিন্ন এলাকার মানুষজনকে মগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা সাজিয়ে দেওয়া হয় বন্দোবস্ত। মগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিনব এ জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে।

দক্ষিণ খাওখীর মেহেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি ও মগর ইউনিয়নের একজন সদস্য বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী খান ক্ষমতার পালাবদলে নিজের সুবিধামতো দল পরিবর্তন করেছেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মিষ্টি কথা বলে মানুষের ভিটে-বাড়ি খালি করা তার কাজ।

সব শেষে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে ভূমিহীনদের জমি নিজের আত্মীয়স্বজনের নামে বন্দোবস্ত নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে বরাদ্দের তালিকায়। এসব বিষয় স্থানীয় সংসদ-সদস্য আমির হোসেন আমুকে জানানোর পর আওয়ামী লীগের সব পদ-পদবি থেকে মোহাম্মদ আলী খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বন্দোবস্তের তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খানের বড় ছেলে আলমগীর হোসেনের পরিবারকে ভূমিহীন দেখিয়ে ১০০ শতাংশ এবং মেজো ছেলে কবির হোসেনের পরিবারকে ১০০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্ত কেস নম্বর ১৮৬-নল/২০১২-১৩ এবং ১৮৭-নল/২০১২-১৩।

কিন্তু ভূমি অফিসের রেজিস্টার তালিকায় ১৮৬-এন/২০১১-১২ ও ১৮৭-এন/২০১১-১২ নম্বর কেস হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সব নথির ক্ষেত্রেই সরকারিভাবে বন্দোবস্তের আগেই রেজিস্টার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভূমি অফিসসংশ্লিষ্টরাই বিস্ময় প্রকাশ করেন। ২০২১ সালে প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী মগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভোটার নম্বর ৪২০৪৯৬২৯৯৪৫৭ আলমগীর হোসেন, পেশা হিসাবে দেখানো হয়েছে ব্যবসা এবং কবির হোসেনের ভোটার নম্বর ৪২০৮৮৬২৯৮৬৭৭, পেশা হিসেবে দেখানো হয়েছে বেসরকারি চাকরি। প্রকৃতপক্ষে কবির হোসেন পুলিশে চাকরি করেন।

এ বন্দোবস্ত তালিকায় মোহাম্মদ আলী খানের ছেলে আলমগীরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাসির উদ্দিন তালুকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে।

জানা যায়, নাসিরের মা-বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্য আটজন। তাদের প্রত্যেকের নামে ১০০ শতাংশ করে ভূমিহীনদের এই জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

নলছিটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব সারদলের ৫৭৫ হোল্ডিং ঠিকানায় বংশপরম্পরায় বসবাস করেন নাসির, রবিউল, আব্দুর রহিম, আলাউদ্দিন, ইব্রাহিম ও শারমিন (স্বামী সরোয়ার)। অথচ তাদের সবাইকে মগর গ্রামের বাসিন্দা হিসাবে ওই জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে নাসিরের শনাক্তকারী হিসাবে কবির হোসেনের নাম রয়েছে এবং অন্যদের শনাক্তকারী নাসির উদ্দিন। বন্দোবস্ত তালিকায় থাকা রবি চন্দ্র দাস, পিতা-মৃত হরি চন্দ্র দাস এবং পরেশ পাল, পিতা মৃত শিব পালের নাম মগর গ্রামে উল্লেখ থাকলেও তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মেরহার গ্রামের বাসিন্দা সবিতা রানী দাস জানান, তার দেবরের নাম রবি চন্দ্র দাস। কিন্তু তার পিতার নাম নগেন চন্দ্র দাস। একই বাড়িতে পরেশ পাল, পিতা নিতাই পাল নামেও রয়েছেন একজন। তবে জমি বন্দোবস্তের বিষয় কিছুই জানেন না তারা।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, নলছিটি উপজেলার জেএল-১৬, মগর মৌজার ১নং খতিয়ানের প্রায় ১২০ বিঘা জমি বিভিন্নজনের নামে বন্দোবস্ত হয়। বন্দোবস্ত দেওয়া জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্টদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়নি। যুগান্তরের তথ্যানুসন্ধানে ভূমিহীন বন্দোবস্ত প্রাপকদের স্বাক্ষর ও শনাক্তকারীর স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেদিন দলিল সম্পন্ন হয়, ওই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীকেও পেয়েছেন প্রতিবেদক। দলিল সম্পাদনের দিন সেখানে উপস্থিত একজন প্রতিবেদককে জানান, কয়েকজন ছাড়া বন্দোবস্ত তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা রেজিস্ট্রির সময় সশরীরে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। সাবরেজিস্ট্রারের খাসকামরায় বন্দোবস্ত দলিল সম্পন্ন হয়েছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খানের লোকজন পরস্পর যোগসাজশে একজনের স্বাক্ষর আরেকজন করেছেন। ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নথি পত্রেই এর প্রমাণ রয়েছে।

ওই সময় দলিল সম্পাদনকারী সাবরেজিস্ট্রার মো. শাহজাহান মোল্লা বর্তমানে ফরিদপুর সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, ‘অনেক আগের ঘটনা, ঠিক মনে করতে পারছি না। জালজালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি বন্দোবস্ত দলিল করা হলে জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত বাতিল করার এখতিয়ার রাখেন। সেক্ষেত্রে বন্দোবস্ত বাতিল হলে রেজিস্ট্রিও বাতিল হবে।’

সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, বিশাল জমির পুরো অংশজুড়ে ধানচাষ করা হয়েছে। সবই বর্গা কিংবা বন্ধক রেখে আবাদ করা হয়েছে। বন্দোবস্তের পর নতুন করে জেগে ওঠা চরও এ জমির সঙ্গে দখল করে নেওয়া হয়েছে। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারানো মানুষজনের জেগে ওঠা চরে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীরা জানান, নদীভাঙনের ফলে বিভিন্ন সময় এ পাশের জমি গিয়ে নদীর অপর পাশে অর্থাৎ নলছিটি পৌরসভার গৌরীপাশা গ্রামসংলগ্ন এলাকায় চর জাগে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ জমির দাবিদার সুজাবাদ, মেরহার, কাঠিপাড়া, কড়ুয়াকাঠি ও মগর গ্রামের বাসিন্দা। উল্লিখিত বন্দোবস্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ ব্যক্তিকে স্থানীয়রা কেউই চিনেন না। স্থানীয়রা যাদের চিনতে পেরেছেন, তাদের কেউই ভূমিহীন নন। আর যাদের নামপরিচয় পাওয়া গেছে, তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে মোহাম্মদ আলী খানের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন। সুজাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত কেরামত আলী খানের ছেলে মোস্তফা খান ও তাদের গোষ্ঠীর লোকজনের ঘরবাড়ি নদীতে তিনবার ভেঙে গেলেও কারও নামে জমি বন্দোবস্ত হয়নি।

জানতে চাইলে মগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক শাহীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের জন্য জমির বন্দোবস্ত করেছেন। সেখানে সরকারি চাকরিজীবীর নামে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া ঠিক নয়। দলের নাম ভাঙিয়ে ভূমিহীনদের জমি সচ্ছল ব্যক্তিরা বন্দোবস্ত নেওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে কেউ হয়তো আমাদের নেতাকে (স্থানীয় সংসদ-সদস্য আমির হোসেন আমু) জানিয়েছেন। তবে তিনি মনে করেন, সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিরা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলে আমির হোসেন আমু বন্দোবস্ত বাতিলের ব্যবস্থা নেবেন।’

যোগাযোগ করেও স্থানীয় সংসদ-সদস্য আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ব্যক্তিগত সহকারী শাওন খান বলেন, তিনি (আমির হোসেন আমু) নির্বাচনি কাজে এলাকায় ব্যস্ত আছেন।

দফায় দফায় মোবাইল ফোনে কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি মোহাম্মদ আলীর অপর ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি পুলিশের কনস্টেবল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম