নাশকতার দুই মামলা
টুকু-জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর দণ্ড
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![টুকু-জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর দণ্ড](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/12/08/image-748823-1701996974.jpg)
রাজধানীর শাহজাহানপুর ও গুলশান থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ জন খালাস পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রায়ে আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের দুই বছর করে সাজা ভোগ করলে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-যুবদলের সভাপতি টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ। জানা গেছে, শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
এদিকে গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুবছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন এ কারাদণ্ড দেন। আসামিরা হলেন-মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম।