সিলেট টেস্ট
রানে ভরা উইকেটেও এমন ব্যাটিং
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দুই উইকেটে ১৮০ রান। স্কোর বোর্ডটা ঝলমলে দেখাচ্ছিল ৫৩তম ওভারে। উইকেটে জমে গেছেন মাহমুদুল হাসান ও মুমিনুল হক। দুই ‘ম’-এ বাংলাদেশের ইনিংস মৌতাত ছড়ানোর অপেক্ষায়। কিন্তু দলটা যে বাংলাদেশ, সেটা মনে করিয়ে দিতেই মুমিনুল ও মাহমুদুল এক ওভার আগে-পরে সাজঘরের পথ ধরেন। এর মধ্যে মাহমুদুল আক্ষেপ করতেই পারেন সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে আউট হওয়ায়। ১৬৬ বলে ৮৬। ১১টি চার। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার হতাশা সঙ্গী হয়েছে ওপেনার মাহমুদুলের। মুমিনুল হকের (৩৭) সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৮৮ এবং নাজমুল হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুলের ৫৩ রানের জুটিই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের দুটি মূল স্তম্ভ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথমদিন শেষে বাংলাদেশের নয় উইকেটে ৩১০ রানের পুঁজি আরও স্ফীত হতে পারত, যদি ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে না দিতেন। উইকেট থেকে তেমন সহায়তা না পেয়েও খণ্ডকালীন কিউই বোলার গ্লেন ফিলিপস বলতে গেলে মুফতেই পেয়ে গেলেন চার উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের খাটো না করেও বলা যায়, বাংলাদেশের ব্যাটাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উইকেট হারিয়েছেন নিজেদের ভুলে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চোটজনিত কারণে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ভুল করেননি। কিন্তু তিনি নিজেও সেই সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৩৫ বলে ৩৭ রান তার পুঁজি। শুরুটা ভালো করেও অসময়োচিত প্রস্থানের জন্য তিনি দায়ী করতে পারেন শুধু নিজেকে।
চা-বিরতির আগে স্বাগতিকরা ১৮৪/৪ হয়ে যায়। টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। পরের ওভারে পত্রপাঠ বিদায় নেন মাহমুদুল। চা-বিরতির পর মুশফিক (১২)। অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন ৫৪ বলে ২৪ করে ফিলিপসকে তার তৃতীয় উইকেট উপহার দেন। ফিলিপসের চতুর্থ শিকার নুরুল হাসান (২৯)। বাকি ৩.১ ওভার কাটিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম (৮*) ও শরীফুল ইসলাম (১৩*)। আলোর স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগে ৮৫তম ওভারে শেষ হয় প্রথমদিনের খেলা। ফিলিপসের চার উইকেট বাদে দুটি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও এজাজ প্যাটেল। (স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)