অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি করা হবে না: ইসি আলমগীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশাসন ও পুলিশের কাউকে অযৌক্তিক কারণে বদলি করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, হাজার হাজার কর্মকর্তাকে বদলি করা হলে প্রশাসনে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশ পরিচালনায় অথবা নির্বাচন পরিচালনায় একটা বিশাল বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এর দায়িত্ব কে নেবে-প্রশ্ন রাখেন তিনি। আচরণবিধি লংঘনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে জটলা তৈরি হলে তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন ১৫ নভেম্বর তফশিল ঘোষণা করে। এতে দুজন বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি দলের সাজানো প্রশাসনে নির্বাচন করছে কমিশন।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এই অভিযোগ আমি ১৯৭০ সাল থেকে শুনে আসছি। এরপর যত নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে এ ধরনের অভিযোগ শুনে এসেছি। এ অভিযোগ কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। তিনি বলেন, অযৌক্তিক কারণে কাউকে বদলি করব না। তবে যদি যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে বা আচরণ ও কাজে প্রমাণিত হয় ওই অফিসার নিরপেক্ষ নন তখন বদলি করব। যেমন জামালপুরের একজন জেলা প্রশাসককে তফশিল ঘোষণার আগে আমরা বদলি করেছি।
প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য রদবদল করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, অনেকে নিজেদের ভাবনা থেকে এগুলো বলেন। আইনের ব্যাখ্যাটা হলো আরপিও অনুযায়ী পুলিশের কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার এবং এর নিচে যত কর্মকর্তা আছেন, তারা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি হতে পারবেন না। সরকার চাইলে এদের বদলি করতে পারবে না। সবাই আমাদের অধীনে এসেছে, এ কথা আইনের কোথায় আছে?
প্রশাসনে ব্যাপক হারে রদবদল করা হলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। তিনি বলেন, এছাড়া যাদের বদলি করা হবে, তাদের টিএ বিল দিতে হবে। তার ফ্যামিলির যাওয়া-আসার খরচ, মালামাল পরিবহণ এবং বাসার সংস্কারের খরচ দিতে হয়। এই বিলের টাকা কে দেবে? তবে অবশ্যই বদলি করব যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে এবং প্রমাণ পাই।
আচরণবিধি লঙ্ঘন : মো. আলমগীর বলেন, দলীয় মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে জটলা তৈরি হলে তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। তবে আমাদের রিটার্নিং অফিসারের (কার্যালয়ের) সামনে করলে এটা (আচরণবিধি লঙ্ঘন) হতো। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কার্যালয়ের ভেতরের কার্যক্রম আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। মনোনয়নপত্র কিনলে উল্লাস তো করবেই। অফিসে আনন্দ উল্লাস করতে পারবে। এখন সুনির্দিষ্টভাবে কেউ ভোট চাচ্ছে না। যেহেতু এখন কোনো প্রার্থী নেই, সুতরাং তারা দলের জন্য ভোট চাইছে, কোনো নির্দিষ্ট কারও পক্ষে তো ভোট চাইছে না।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ফ্যামবোসা, ওআইসি ও অন্য দেশের নির্বাচন কমিশনকে আমরা দাওয়াত করেছি, তাদের লোকাল হসপিটালিটি দেব। তবে বিমান ভাড়া দেব না। লোকাল খরচ বলতে হোটেল ভাড়া, যাতায়াত ও খাওয়ার খরচ দেওয়া হবে। যারা সাংবাদিক তারা নিজের খরচে আসবেন।