Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সংসদ নির্বাচন: গাজীপুর

আ.লীগে নির্বাচনি উত্তাপ উলটো চিত্র বিএনপিতে

Icon

শাহ সামসুল হক রিপন, গাজীপুর

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আ.লীগে নির্বাচনি উত্তাপ উলটো চিত্র বিএনপিতে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা মাঠে সরব থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরের চিত্র পুরো উলটো। সরকার পতনের একদফা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতারা। বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে ভাবনার ফুরসতই যেন পাচ্ছেন না তারা। যদিও বিএনপি নেতারা বলছেন, দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই কেবল তারা ভোটে যাবেন।

এদিকে সংসদ নির্বাচন ঘিরে গাজীপুরের ৫টি আসনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় পালটে যাবে ভোটের চিত্র। সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে আওয়ামী লীগ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গাজীপুরের পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আর যদি বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলো ভোটে অংশ না নেয় তবে গাজীপুরে নির্বাচন হবে একতরফা ও নিরুত্তাপ-এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। (সরেজমিন তথ্যসহ প্রতিবেদন প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন মোহাম্মদ আখতার হোসেন-গাজীপুর মহানগর, আবদুল মালেক-শ্রীপুর, সরকার আব্দুল আলীম-কালিয়াকৈর, আবদুল গাফফার-কালীগঞ্জ, খোরশেদ আলম-কাপাসিয়া ও জসিম উদ্দিন-জয়দেবপুর)।

গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর) : এ আসনে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। এ আসনে তিনি ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এবং ২০১৮ সালেও ফের নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা অতীতের কোনো সরকারের আমলে হয়নি। আশা করছি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটাররা এবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে।

মোজাম্মেল হক ছাড়াও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবেন। ২০১৪ ও ১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। যুগান্তরকে তিনি জানান, এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডকেন্দ্রিক তার ১৫ হাজার নেতাকর্মীর সমন্বয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদী। নৌকার মনোনয়ন চাইছেন কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন সিকদার। এ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা সংবলিত নির্বাচনি ইশতেহার প্রচার করে আসছেন নুরে আলম সিদ্দিকী। তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে দলের কাছে নৌকা প্রতীক চাইবেন। সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুলও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী।

অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে গেলে ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য কারাবন্দি নেতা কাজী সায়্যেদুল আলম বাবুল, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সদস্য পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, সাবেক জিএস সুরুজ আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এ আসনে বিএনপির দলীয় অবস্থান ভালো। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দল যাকেই প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেবে তাকে নিয়েই আমরা নির্বাচনি মাঠে কাজ করব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আল-আমিন সরকার, নজরুল ইসলাম বাবু, শরীফুল ইসলাম শরীফ ও মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন (নাজিম হাসান)। এছাড়া জাকের পার্টির কালিয়াকৈর পৌর সভাপতি মো. মানিক সরকার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা সম্পাদক মুফতি মোরশেদ ও কাশিমপুর থানা সভাপতি মুফতি আবুল বাশার প্রার্থী হতে পারেন।

গাজীপুর-২ (সদর) : ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই এ আসনটি জেলার প্রাণকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্র্ণ। ১৯৯১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন-পরবর্তী সবকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনে জয়ী হয়েছে। ২০০৪ সালের ৭ মে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হওয়ার পর থেকে তার ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এ আসনের এমপি। এবারও তিনি নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিনও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে সরাসরি মুখ না খুললেও তার কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এমপি প্রার্থী হিসাবে প্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকার, বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র এমএ মান্নানের ছেলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনি ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু। হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সমমনা জোট ও দলগুলো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফা আন্দোলনে মাঠে আছে। এ সরকার ও তাদের দ্বারা গঠিত কমিশনের অধীনে নির্বাচন অতীতেও সুষ্ঠু হয়নি, বর্তমানেও সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এ অবস্থায় আমরা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছি না। অবস্থার পরিবর্তন হলে বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া এ আসনে মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি নিয়াজ আহমেদ ও মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইসরাফিল মিয়া দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসেম খানের নাম প্রার্থী তালিকায় শোনা যাচ্ছে।

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) : শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের মির্জাপুর, ভাওয়ালগড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে বিগত ১০টি সংসদ নির্বাচনের ছয়টিতেই জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ। বাকি দুইবার বিএনপি ও দুইবার জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয়েছে। এ আসনের বর্তমান এমপি মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এবারও নৌকার মনোনয়ন চাইছেন। তিনি ছাড়াও প্রয়াত ৫ বারের এমপি রহমত আলীর ছেলে জামিল হাসান দুর্জয়, মেয়ে সংরক্ষিত এমপি রুমানা আলী টুসি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। জামিল হাসান দুর্জয় নৌকার মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারে, রক্তের সঙ্গে মিশে রয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। বাবার মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীই আমাদের অভিভাবক। নির্বাচন সামনে রেখে দেশবিরোধী নানা চক্রান্ত হচ্ছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন তিনি। এদিকে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা পেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, বিএনপি নেতা নাহিন আহাম্মেদ মমতাজী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার, ব্যবসায়ী আতিকুল্লাহ বাবুল ধানের শীষের মনোনয়ন চাইতে পারেন। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মন্ডলও দলটির প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) : এ আসনটিতে ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। বর্তমান এমপি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি ছাড়াও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও তাজউদ্দীন আহমদের ভাগিনা শিল্পপতি আলম আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আরিফ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। আলম আহমদ বলেন, নৌকা যার আমরা তার। এবারের নির্বাচন হবে অন্যরকম। এজন্য আমরা দলীয়ভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহর মৃত্যুর পর তার ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এ আসনে নির্বাচনি মাঠ গুছিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই আমাদের। সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন হলে আমরা নির্বাচনে যাওয়ার চিন্তা করব।

রিয়াজুল হান্নান ছাড়াও ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ খান ও কারাবন্দি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সেলিম। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন শামসুদ্দিন খান, এনামুল কবির, সাইদুর রহমান মোড়ল। এছাড়া জাকের পার্টির ডা. জুয়েল কবির, গণতন্ত্রী পার্টির অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ প্রার্থী হতে পারেন।

গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ, সিটি ও সদরের একাংশ) : এ আসনটি কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটির ৩৯-৪২নং ওয়ার্ড এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এ আসনে বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকী এবারও নৌকার প্রার্থী হতে চান। তিনি ছাড়াও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান, কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফি মেহেদী হাসান ও গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রফিজ উদ্দিন।

এ আসনটি আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হলেও নেতৃত্বের কোন্দলের জেরে নেতাকর্মীরা দৃশ্যমান দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে দীর্ঘদিনের এ কোন্দল ক্রমেই বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের আগে এ কোন্দল না মেটালে ভোটের হিসাব পালটে যেতে পারে। দলে কোনো ভেদাভেদ নেই উল্লেখ করে মেহের আফরোজ চুমকী বলেন, আমি দলীয় কোন্দলে বিশ্বাসী নই। সবাইকে নিয়ে এক ছাতার নিচে একটি পরিবারের মতো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে একজনের পক্ষে হয়তো সবার মন জয় করা যায় না। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফি মেহেদী বলেন, এ আসনে দলীয় কোনো বিভেদ নেই, তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। সেজন্য অনেকেই মনোনয়ন চাচ্ছেন এবার। আমি নিজেও একজন মনোনয়নপ্রত্যাশী।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন ভাইটাল ফ্যাক্টর হতে পারেন। তিনি ছাড়াও এ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি. কস্টা। কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি রাহেলা পারভিন শিশির, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান খান, জাতীয় পার্টি নেতা মো. মনজুরুল হক ও মিনহাজ আবেদিন এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সম্পাদক আতিকুর রহমান, জামায়াতের গাজীপুর মহানগর সেক্রেটারি মো. খায়রুল হাসান, জাকের পার্টির মো. এখলাস উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম আরিফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (চরমোনাই) গাজী আতাউর রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম