নিয়মবহির্ভূতভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ায় রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগে ভাঙচুর চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে দুই সাংবাদিক মারধরের শিকার হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক হলেন-রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ জার্নালের জেলা প্রতিনিধি আবু সাইদ রনি এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ও রাজশাহী পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার আবদুল আলীম।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাঈদ হাসান আশিক, মো. সাহেদুজ্জামান, আশিকুর রহমান সজিব, সাজেদুর রহমান সিজার, মো. মেহেদী, আবদুর রহিম, মো. জাকারিয়া ও সাব্বির হোসেন হামলা চালায়।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল খালেক জানান, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে কোনো বিভাগেই ইন-কোর্স পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে গণিত বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাকেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুদ রানা তার (অধ্যক্ষ) কাছে আসে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি নিয়ে। তিনি রানাকে বুঝিয়ে পাঠান যে, একজনকে পরীক্ষা দিতে দিলে সবাইকেই এ সুযোগ দিতে হবে। তাই এটা করা যাবে না। এরপর তার (অধ্যক্ষ) কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মাসুদ রানা অন্যদের ডেকে এনে গণিত বিভাগে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

একপর্যায়ে তারা ফুলের টব ভাঙচুর করে। সাংবাদিকরা ভাঙচুর করা ফুলের টবের ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দুই সাংবাদিককে মারধর করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে আহত দুই সাংবাদিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম বলেন, ‘হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই। হামলাকারীরা যেহেতু কলেজের শিক্ষার্থী, তাদের ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর পাশাপাশি আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাই।’

জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর বলেন, ‘পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কেউ থাকতে পারে। এ রকম কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’