Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ভূমি অফিসের টিন বিক্রি করলেন সেই এসিল্যান্ড

Icon

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভূমি অফিসের টিন বিক্রি করলেন সেই এসিল্যান্ড

পিরোজপুরের নাজিরপুরে নামজারিতে ঘুসের নির্দেশনা দেওয়ার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া সেই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবার নিজ অফিসের সম্প্রসারিত ভবনের টিন ও লোহার মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমানের দাবি, তিনি মালামালগুলো বিক্রি করেননি। ওই ভবনের সংস্কারের মিস্ত্রির মজুরি বাবদ টিন ও লোহার অ্যাংগেল দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, একেএমএ আউয়াল এমপি থাকাকালে উপজেলা ভূমি অফিসসংলগ্ন ৪ শতাংশ খাসজমি দখল করে একটি দ্বিতল পাকা ভবন তৈরি করেন। প্রায় ৪ বছর আগে তা নিয়ে দুদকে মামলা হয়। এরপর উপজেলা ভূমি অফিস ভবনটি নিজেদের দখলে নেয়। ৫ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই ভবনসহ ৪টি ভবন সংস্কারের জন্য সাড়ে ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ওই ভূমি অফিসসংলগ্ন ব্যবসায়ী মো. ফরিদ বেপারী বলেন, ভবনের চালে উন্নতমানের প্রায় ২০ বান্ডিল টিন ও এক টনের বেশি লোহার অ্যাংগেল ছিল। শনিবার বিকালে দেখি ভবন সংস্কারে নিয়োজিত মিস্ত্রির লোকজন তা নিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল ওই ভবনের সামনে বেশকিছু দিন পড়ে ছিল।

ওই ভবন সংস্কারের কাজের দায়িত্বে থাকা মিস্ত্রি মো. ইলিয়াস হোসেন শেখ বলেন, ভবন সংস্কারের মজুরি ৭৮ হাজার টাকা বাবদ এসিল্যান্ড তাকে ওই মালামাল দিয়েছেন। তাতে ওই মিস্ত্রির লোকসান হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব দাস বলেন, বিধি মোতাবেক সরকারি কোনো মালামাল এসিল্যান্ড একা বিক্রি করতে পারেন না। ওই মালামাল জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির বিধান রয়েছে।

এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমন ৮ জুন নাজিরপুরে যোগাদান করেন। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। এসিল্যান্ড তহশিলদারদের সঙ্গে মিউটেশন বাবদ ঘুসের টাকা নেওয়ার বিষয় নির্ধারণ ও তার থেকে তাকে দেওয়া নিয়ে একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়। এনিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেলে ওই এসিল্যান্ডকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম