Logo
Logo
×

শেষ পাতা

খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগ

হাইব্রিডদের দাপটে ত্যাগীরা কোণঠাসা

নেপথ্যে স্থানীয় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

Icon

মুহাম্মদ আবুল কাশেম

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাইব্রিডদের দাপটে ত্যাগীরা কোণঠাসা

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন হাইব্রিডদের দাপট তুঙ্গে। জোট সরকারের আমলের ত্যাগী ও দুঃসময়ে রাজপথের আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন একরকম কোণঠাসা। তাদের অনেকে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হরানির কারণে এলাকাছাড়া। যেসব ত্যাগী নেতা এলাকায় আছেন তারাও কোণঠাসা হয়ে নিষ্ক্রিয় হতে বাধ্য হয়েছেন। এ কারণে গত ১৪ বছর ধরে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিগত ১৪ বছরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ-সদস্য (এমপি) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার একনায়কতন্ত্র ও তার ছত্রছায়ায় রাজত্ব কায়েম করেছে হাইব্রিডরা। এমপির অনিয়মের প্রতিবাদের কারণে অনেক ত্যাগী নেতাকে মিথ্যা মামলা ও নানাভাবে হয়রানি করে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগে নেওয়া হয়েছে চিহ্নিত রাজাকারের সন্তান, শিবির, বিএনপি নেতা ও এক সময়ের রাষ্ট্রের বিরোধী হিসাবে আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তিদের। সম্প্রতি এসব অভিযোগ তুলে ধরে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা এমপির ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগকে বহন না করে কুজেন্দ্র লালকে দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু তাহের, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় মারমা, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জ্বল মারমা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিসান, সালাউদ্দীন, তোফাজ্জল হোসেনসহ দুইশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে জানান, রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও রাজাকার কমিটিতে কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই অবগত আছেন। সব যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এদের রাখা হয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আমি ছিলাম কেউ ছিল না। আমি গাড়ি-জমি বিক্রি করে দল চালিয়েছি। আপনারা পত্রিকায় আমার পক্ষে লেখেন না কেন? সব সময় অনিয়মগুলো কেন লেখেন-এমন মন্তব্য করেই ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর এবং ২০২১ সালের ১৪ জুলাই অনুমোদিত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকা ও বিভিন্ন উপজেলার কমিটির তালিকা পর্যালোচনা ও দলটি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব কমিটিতে স্থান পেয়েছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হাইব্রিড নেতা। দেখা গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মতামত ছাড়াই সাবেক জামায়াতে ইসলামীর শূরা সদস্য ও চিহ্নিত রাজাকার মৃত মো. জামাল উল্লাহর পুত্র সাবেক ছাত্র শিবিরের নেতা নুরুল আজমকে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে দেওয়া হয়েছে। রাজাকারপুত্র নিলোৎপল খীসাকে শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক পদে, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের (মূল) প্রার্থী (হাতি) প্রতীকের চিফ এজেন্ট বর্তমানেও সক্রিয় একজন নেতা অ্যাডভোকেট জ্ঞান জ্যোতি চাকমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে, আলোচিত বিএনপি ক্যাডার সাবেক সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আক্তার হোসেনকে অর্থবিষয়ক সম্পাদক পদে, ছাত্রদলের ক্যাডার খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিনকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে, বিএনপির ক্যাডার আবু দাউদকে সহসভাপতি পদে, বিএনপির আরেক ক্যাডার আজিমুল হককে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে, ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু বিকাশ ত্রিপুরাকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে, পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন হিল উইমেন ফেডারেশনের নেত্রী চিংমেপ্রুই মারমাকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সন্তান ইউপি নির্বাচনে (২০২২ সাল) নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ক্যাসিনো সম্রাটখ্যাত ক্যউচিং মারমাকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে আনা হয়।

এছাড়া বিএনপির দুই দুর্ধর্ষ ক্যাডার মো. আব্দুল বারেক ও মো. মনিরুল ইসলাম ফরাজীকে দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে, পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিএনপির ক্যাডার মো. আলমগীর ওরফে বিদেশি আলমগীর, বিএনপির দুর্ধর্ষ ক্যাডার মো. জসিম উদ্দিনকে মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক পদে আনা হয়েছে বিএনপি ক্যাডার যুবদল নেতা এবং ভাইজি জামাতা সৌরভ ত্রিপুরাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সুকৌশলে দলটিতে দেড় যুগেরও বেশি কোন্দল জিইয়ে রেখে জেলা কমিটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদে স্থান পেয়েছেন এমপির আত্মীয়স্বজন। বাকিরা তার পছন্দের ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ও উপঢৌকনসহ নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আছে। স্বীকৃত রাজাকার ও শান্তি কমিটির সভাপতি প্রয়াত বিন্দু কুমার খীসার ছেলে নিলোৎপল খীসাকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নিয়োগে বিশেষ ভূমিকা ছিল এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার।

ভয়ংকর অপরাধী হেলাল আ.লীগে : খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের তালিকায় অপরাধী চক্রের সদস্য ও এক সময়ের বিএনপি ক্যাডার মেহেদি হাসান হেলালও এখন আওয়ামী লীগ নেতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থেকে ৯০ দশকে খাগড়াছড়ি থেকে পালিয়ে আসেন হেলাল। প্রথমে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৩ বছর খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার রান্নার কাজে বাবুর্চি হিসাবে নিযুক্ত হন। তখন ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছত্রছায়ায় হেলাল হয়ে ওঠেন পুরো জেলার দুর্ধর্ষ ক্যাডার। ১৯৯৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত সড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মজিবুল আলমের হাত কেটে দিয়ে আতঙ্কের নাম হয়ে আলোচনায় আসেন এ হেলাল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার এলে সুকৌশলে দলীয় ভোল পালটে যুবলীগে যোগ দেন। পরে পুরো জেলায় ও নিজ এলাকায় খাসসহ বিভিন্ন জমি দখল, বিশেষ করে সবুজবাগ এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে খাসজমি দখল ও পরবর্তীকালে বেচাবিক্রিসহ বিভিন্ন টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অল্প সময়ে এমপির আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে যুবলীগের পদও তিনি বাগিয়ে নেন। পরে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। শহরের মহাজনপাড়ার পাহাড়ি সম্প্রদায়ের খাগড়াছড়ি গেস্ট হাউজে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ রয়েছে হেলালের বিরুদ্ধে।

পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে তাকে ওই বছরের ৯ জুন কেন্দ্রীয় যুবলীগ লিখিতভাবে বহিষ্কার করে। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর তার বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় আবারও হেলালকে ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর সদর উপজেলা কমিটিতে সহসভাপতি, পুনরায় ২০২৩ সালের ১৪ জুন শ্রমিক লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে বসান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতার পাল্লা ভারী করতে এ ধরনের সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিকে নিজের বলয়ে রাখতে মরিয়া। এছাড়াও বিতর্কিত এ হেলাল চলতি বছরে সরকারের একটি সংস্থার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করার অপরাধে কারাভোগ করার পরেও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তাকে স্বপদে বহাল রাখেন।

মামলা-হামলার শিকার আ.লীগ নেতারা : এমপির একক আধিপত্য ও অনিয়ম এবং সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে কেউ কথা বললেই তাদের ওপর নেমে আসে নানা নির্যাতন। এমপির অসাংবিধানিক সংগঠন পরিচালনা ও বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে দলীয় পদ-পদবি হারিয়েছেন এমন ত্যাগী নেতাদের সংখ্যাও কম নয়। এর মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরাকে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অধ্যাপক সত্যজিৎ চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদ হতে হোসেন আহম্মদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মোমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সুপাল চাকমা এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার নির্মল দাশ ও নির্নিমেষ দেওয়ান, পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. সৈয়দ আহাম্মদ, একই উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু তাহের, পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরিদ মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. নুরুন্নবী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যাপক সৌরভ তালুকদারসহ অনেককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অনেকেই এখন জেলা ছাড়া। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সমীর দত্ত চাকমা বলেন, জেলা ও পৌর ছাত্রলীগ, পৌর যুবলীগ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই এখন আদালতে হাজিরা দিয়ে আসেন। এ হলো এমপির আসল চরিত্র। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের জন্য আশীর্বাদ নয় বরং সে অভিশাপ। তার কারণে আজ আওয়ামী লীগের দুর্নাম জেলাজুড়ে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সাবেক পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি কুজেন্দ্র লাল অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পুরো খাগড়াছড়ি গিলে খাচ্ছেন। তিনি দুই মেয়াদে এমপি হয়ে দলটাকে ধ্বংস করেছেন। চিহ্নিত রাজাকারের সন্তান ও বিএনপি নেতাদের দলের নেতা বানিয়েছেন। এছাড়াও দুঃসময়ে রাজপথে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নানাভাবে দল থেকে বিতাড়িত করেছেন। আওয়ামী লীগ আর তার কাছে জিম্মি থাকতে চায় না। একই তথ্য উল্লেখ করে মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামশুল হক বলেন, এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা দলটাকে বিক্রি করে লুটেপুটে খাওয়া ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই। তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রম খাগড়াছড়িতে নেই বললেই চলে। এমপি দলীয় কোনো প্রোগ্রাম করেন না।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তপন কান্তি দে বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে এক সময় আমি খাগড়াছড়িতে থাকতে পারিনি। নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে আমার ওপর বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। সে আওয়ামী লীগ চোখের সামনে একজন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার কারণে আজ খাগড়াছড়িতে নিস্তেজ হয়ে যাবে সেটা মেনে নিতে পারছি না। আজ এখানে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া সবাই হাইব্রিড। এমপি লীগ। ত্যাগী নেতারা মামলা ও হামালার শিকার হয়ে বড়ই অসহায় ও এলাকাছাড়া। এক কথায় এমপি সাহবের হাতে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করা এ কেমন আওয়ামী লীগের সভাপতি? আমরা এমন রাজনীতি চাই না। এভাবে একটা দল চলতে পারে না। আমি এর আগেও দলীয় হাইকমান্ডকে বিষয়টি অবগত করেছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম