এএসআইর স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ
পুলিশ ক্যাম্পে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলা, আহত ১০
ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মচিমহা) ও হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে বুধবার রাতে হামলা চালিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য ও ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন। হাসপাতালে এক এএসআইর স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ভিডিও করার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জসহ দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও অন্য পুলিশ সদস্যদের ক্যাম্প থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইন্টার্নরা তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
জানা যায়, কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই মাহমুদুল হাসান নামে এক পুলিশ সদস্য তার অসুস্থ স্ত্রীকে বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এ সময় বারবার চিকিৎসকদের ডাকার পরও না আসায় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এ সময় রোগীর আরেক স্বজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মোবাইল কেড়ে নিতে যান। এতে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ক্যাম্প থেকে পুলিশ সদস্যরা ছুটে এলে ইন্টার্নদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা সেই স্বজনকে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সমবেত হয়ে সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান পরিচালক, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ পুলিশ এবং হাসপাতালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জরুরি বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থেকে সব পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গঠন করা কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, হাসপাতালের বিষয়টি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। ইন্টার্নদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।