Logo
Logo
×

শেষ পাতা

আইভি রহমানের প্রতি আ.লীগের শ্রদ্ধা

২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষ্যে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

এসব কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ সময় তারেক রহমানকে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যায়িত করে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে উচ্চ আদালতের বিচারিক রায় বাস্তবায়নের দাবিও জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বনানী কবরস্থানে আইভি রহমানের কবরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্ব প্রথমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর।

কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে ’৭৫ সালে শুরু হওয়া হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, দলের নেতৃত্ব ও পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাঁথা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ও অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণ-আন্দোলন কেমন করে হবে? এটি তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার মুলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো করেছিল। তিনি বলেন, এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই।

আন্দোলনের জন্য দুইটা বিষয় লাগে। একটা অবজেকটিভ আরেকটা সাবজেকটিক। তাদের (বিএনপি) অবজেকটিভ কন্ডিশন নেই, সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও নেই।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইভি রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ সময় আরও শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

জাতীয় প্রেস ক্লাব : দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, আল্লাহ যদি তার রহমতের চাদর দিয়ে নেত্রীকে সেদিন রক্ষা না করতেন, তাহলে কোনো অঙ্কেই তার বাঁচার হিসাব মেলে না। তবুও শব্দে তার কানের পর্দা ফেটে গিয়েছিল। তারপরও নেত্রী এ শারীরিক কষ্টকে স্পোর্টিংলি নিয়েছেন, এর নামই নেতা।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, যারা নরপশু, পিশাচ, তারা ছাড়া তার মতো (শেখ হাসিনা) উদার মানসিকতার সবাই তাকে পছন্দ করেন। মানুষকে কাছে টানার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে তার। তিনি বাংলাদেশের সবাইকে কাছে টানতে পারেন। কিন্তু ওইসব জল্লাদকে তিনি কাছে টানতে পারেননি। পারার দরকারও নেই বলে আমি মনে করি। ওদের ব্যাপারে আমাদের শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এ সরকার আওয়ামী লীগের সরকার, এ সরকার শেখ হাসিনার সরকার। এ সরকারের প্রতি দেশের ৭০-৮০ ভাগ মানুষের সমর্থন আছে। অতএব আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যাবে না। এতে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না, তা আজ প্রমাণিত।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ-সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব শাহজাহান আলম সাজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বেগম আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সদস্যসচিব লায়ন মশিউর আহমেদ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মুহাম্মাদ রোকনউদ্দিন পাঠান।

শিশু একাডেমি : বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে আইভি রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারীরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। তিনি বলেন, খুনিদের মূল লক্ষ্য ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন একই মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফরিদা রেজা ও পারভীন জামান কল্পনা। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম