Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রিজেন্ট সাহেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড

Icon

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রিজেন্ট সাহেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার তারিখ হতে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় এ ধারা থেকে তাকে খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এ সময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করা হয়। পরে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট দশজন সাক্ষী বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দেন।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।

২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকাসহ সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ৩১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫টি, সিলেটে, চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় দুটি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের দুটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম