শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক: আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলকে নিরাপদ, সুখী, উন্নত, শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। পর্যটন শিল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া হবে। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ও কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি, কমিটির আহ্বায়কের বিশেষ আমন্ত্রণে বাসন্তী চাকমা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, তিন পার্বত্য জেলার সরকারি দপ্তরগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদে স্থানান্তরের কাজ সফলভাবে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা পরিষদে যথাক্রমে ৩০, ২৯ ও ২৮টি বিভাগ এবং দপ্তর স্থানান্তরিত হয়েছে। এতে পার্বত্যবাসী সরকারি সেবা কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছে। এ কার্যক্রম অধিকতর ফলপ্রসূ করতে সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির কার্যক্রম গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ সময় জানানো হয়, পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারকৃত ২৪০টি ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে পুলিশ মোতায়েন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা-২০১৯ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণয়নে শিগগিরই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি তিন পার্বত্য অঞ্চলের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কেএনএফ দমনের পরামর্শ : বৈঠকে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কর্মকাণ্ডসহ পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কেএনএফকে ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘জঙ্গি’ সংগঠন উল্লেখ করে তাদের যে কোনো মূল্যে দমন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা স্মরণ করিয়ে বৈঠকে বলা হয়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয় যে রাজনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে। তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি। তাদের সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কুকিচিনদের বিরুদ্ধে যে কোনো মূল্যে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কারণ তারা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে।