স্বাভাবিক হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ
ধীরে নামছে বন্যার পানি ভেসে উঠছে ক্ষত
পেকুয়ায় তিন ভাইবোনসহ পাঁচ জেলায় ভেসে উঠল ১৩ লাশ * পাহাড় ধসে মারা যাওয়া দুজনের লাশ উদ্ধার * ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে মহাসড়ক, উপসড়ক, কাঁচা রাস্তা ও বাঁধের ক্ষতচিহ্ন। কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা।
ঢল আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামীণ জনপদে নষ্ট হয়েছে কৃষকের বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের ও বেড়িবাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন।
পানি নামার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফেরা মানুষগুলো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই ত্রাণ দুর্গতদের কাছে পৌঁছেনি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
৪ দিন পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। স্বাভাবিক হচ্ছে অন্য সড়ক যোগাযোগ। পানি নেমে যাওয়ায় কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকোরিয়া, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও বান্দরবানের লামায় ১৩ জনের লাশ ভেসে উঠেছে।
বান্দরবানে পাহাড় ধসে মারা যাওয়া দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কারণে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন প্রকৌশলী। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম, লোহাগাড়া ও রাঙ্গুনিয়া : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি খান মোহাম্মদ ইরফান।
তিনি জানান, মহাসড়কের যেসব স্থানে পানি উঠেছিল সেখান থেকে বুধবার রাতেই পানি নেমে যায়। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এদিকে মহাসড়ক থেকে পানি নামলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। দুর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। সরকারি ও বেসরকারিভাবে যেসব ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড়ের বাসিন্দা প্রকৌশলী শাফায়াত হোসেন রাসেল যুগান্তরকে বলেন, দোহাজারি থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত যে রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত বক্স-কালভার্ট রাখা হয়নি। যেগুলো রাখা হয়েছে তা বন্যা ও ভারি বর্ষণের পানি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত ও প্রশস্ত নয়। এ কারণেই এমন বন্যা হয়েছে বলে তার ধারণা।
সাতকানিয়ার বাজালিয়া, হাশিমপাড়া, ফকিরখিল কেরানী হাট থেকে শুরু করে কেউচিয়া, সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান, চন্দনাইশের হাশিমপুরে যেভাবে পানি হয়েছে তা স্মরণকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে বলেও জানান এই প্রকৌশলী। তবে সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব রেললাইনের কারণে এবার বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে-এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, বান্দরবানে যে বন্যার ভয়াবহ চিত্র সেখানে তো রেললাইন নেই।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত জনজীবন। অনেক বানভাসি মানুষ খেয়ে না দিনাতিপাত করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য যে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোই যায়নি।
চট্টগ্রামের বন্যাদুর্গত বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি সহায়তা হিসাবে ৭০ লাখ টাকা, ৭৬৫ টন চাল ও শুকনো খাবারের ২১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সাতকানিয়ায় সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় এমপি ড. আবুরেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী নৌকায় দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন। একইভাবে সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেবও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এদিকে চন্দনাইশে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া দাদা-নাতির লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার দুজন ভেসে গেলেও বুধবার নাতি ও বৃহস্পতিবার দাদার লাশ উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্য এ দুজন হলেন মোহাম্মদ আবু সৈয়দ ও তার নাতি মো. আনাছ (১০)।
লোহাগাড়ায় বানের পানিতে ভেসে যাওয়া রিকশাচালক আব্দুল মাবুদ ও শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম শাকিবের লাশ ৩ দিন পর উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। আব্দুল মাবুদ উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের চট্টলা পাড়া এলাকার রহিম বকসুর ছেলে ও শাকিব উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ জলিলনগর এলাকার প্রবাসী শামসু উদ্দিনের ছেলে।
সে আমিরাবাদ জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পাশ করেছে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত ৭ দিনে সড়কের ৮টি স্থানে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। অটোরিকশার ওপর গাছ পড়ে চালক ও এক যাত্রী আহত হন। গাছ পড়ার পর ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা গিয়ে গাছগুলো সরিয়ে নেন।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাউকে গাছ সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো দ্রুত কেটে নিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছেন।
কক্সবাজার, পেকুয়া ও চকরিয়া : পানি কমছে চকরিয়া-পেকুয়ার ১৯ ইউনিয়ন ও রামুসহ অন্য প্লাবিত নিম্নাঞ্চল থেকে। আজ সকালে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় ৬০ ইউনিয়নে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৩ জন বন্যার কবলে পড়েন।
সে সময় চকরিয়া এবং পেকুয়া উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নেন। এসব মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাশাপাশি ৩৭ হাজার ৫০০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়। মজুত রয়েছে আরও ৫০ হাজার। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৯ কিলোমিটার সড়ক-উপসড়ক। এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পেকুয়ার ৬টি এবং চকরিয়ার ১৩টি ইউনিয়ন। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি সাড়ে ৪০ লাখ টাকা। পানি কমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পেকুয়া ও চকরিয়ায় পাঁচ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলো-পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম ও ছেলে আমির হোছাইন এবং তাদের নিকটাত্মীয় ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম। চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ভেরুয়াখালীপাড়ার মো. এমরানের ছেলে মো. জিশান, তবে খুটাখালী থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
৪ দিনের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসংলগ্ন এলাকায় রেললাইনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, বন্যায় চকরিয়া, পেকুয়া, রামু এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের বেশকিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখনো ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বন্যায় রেললাইনের পাথর, মাটি ও বাঁধ ভেসে গেছে। কিছু অংশে রেললাইন হেলেও পড়েছে। এ ক্ষতির কারণে প্রকল্প শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
রাঙামাটি : বাঘাইছড়িতে ২ শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পৃথক ঘটনায় বাঘাইছড়ির কাচালং নদী থেকে এ তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সম্প্রতি টানা বর্ষণে সদরসহ রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অর্ধলাখ মানুষ। রাঙামাটি ও বাঘাইছড়ি পৌরসভাসহ ২৯টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের পাহাড় ধসে ২৮টি আশ্রয়ণের ঘরসহ ১ হাজার ৩০১ পরিবার এবং বন্যায় প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার ৬১৭ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় অর্ধলাখ।
এছাড়া পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩৬৮ দশমিক ১৫ হেক্টর ফসলি জমি ও রোপা আমন খেত। জেলা প্রশাসন এসব তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং এলাকার দীপুপাড়া কাচালং নদীর পাড় থেকে কাদামাখা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, লাশটি স্থানীয়রা দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি পৌরসভার উগলছড়ি হাজীপাড়া এলাকার কাচালং নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাম মো. জুয়েল। সে বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসাপাড়ার মো. মহসিনের ছেলে। জুয়েল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নৌকা থেকে পড়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়।
একই দিন দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অরুণ বড়ুয়ার ছেলে রাহুল বড়ুয়া বাড়ির পাশে নদীর ধারে গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে পড়ে গেলে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বান্দরবান ও লামা : বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সবখানেই। ধোয়ামোছার পরিষ্কার পানি ও খাবার পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। দুর্গন্ধ এবং ময়লা পানি ব্যবহারের কারণে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে।
৫ দিন পর বান্দরবান জেলায় প্লাবিত এলাকাগুলোর বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেছে। সড়কের পানি নেমে যাওয়ায় ৪ দিন পর চালু হয়েছে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও। তবে পাহাড় ধসে সড়ক বিধ্বস্ত হওয়ায় রুমা ও থানচি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে দুর্গতরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে ৫ দিন পরও বান্দরবান জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে পাহাড় ধসে এবং বন্যায় পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী বাজারপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় আবুল হোসেনের স্ত্রী করিমা বেগম ঘরের মাটির দেওয়াল চাপা গড়ে মারা গেছেন এবং একই দিন দুপুরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের মম্বাসি মারমা নামে একজন পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছেন।