Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রংপুরে জনসভা

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উজ্জীবিত দলের নেতাকর্মীরা

Icon

মাহবুব রহমান, রংপুর

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উজ্জীবিত দলের নেতাকর্মীরা

রংপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

রংপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভাগীয় জনসভার পর বিভাগের ৮ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিশাল এই জনসভা এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যে তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এদিকে এই জনসভা ঘিরে দলের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কমিটির নেতাকর্মীদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি ও নেতৃত্বের পরীক্ষা দেওয়া। সেই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কুড়িগ্রাম জেলা সহসভাপতি ও রাকসুর (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) সাবেক জিএস কুড়িগ্রাম বারের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের জনসভার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে-এই দলের শেকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত। রংপুরে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক লোকের সমাগম দেখে দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের দলীয় অবস্থান সম্পর্কে আরও বেশি উজ্জীবিত হয়েছে। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের উন্নয়নে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এই জেলার ১৬টি নদ-নদীর পলি অপসারণের জন্য খনন কার্যক্রমের উদ্যোগ, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারীতে নৌ-বন্দর স্থপানসহ নানা উন্নয়ন কাজ কারেছেন। এসবও আগামী নির্বাচনে দলের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা বলেন, বুধবার আওয়ামী লীগের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দিনাজপুর থেকেই লক্ষাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায় যোগ দিয়েছেন। এত মানুষের সমাগম দেখে জেলার ১৪টি থানা কমিটি, ৯টি পৌরসভা কমিটি ও ১০৪টি ইউনিয়ন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। আলতাফুজ্জামান আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা প্রমাণ করেছে-যতই ষড়যন্ত্র আসুক আগামী নির্বাচনে দিনাজপুরের ৬টি আসনে আবারও আওয়ামী লীগ জয়ী হবে।

শুধু জেলা পর্যায়ের নেতারাই নন, বিভাগীয় জনসভার পর তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। দিনাজপুর সদর উপজেলার ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক বলেন, দেশের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভালোবাসা ও আবেগ-তা আবারও প্রস্ফুটিত হয়েছে রংপুরের জনসভায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়েছে। এই আস্থা নিয়েই নতুন উদ্যমে আগামী নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

রংপুর মহানগর আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, রংপুরে দলের ঐতিহাসিক জনসভা যখন জনসমুদ্রে পরিণত হয় তখন বুঝতে হবে বিভাগে দলের অবস্থান কতটা শক্তিশালী। রংপুর এখন আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের চেহারা দেখতে পাচ্ছি। আমরা নিজেদের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা কমিয়ে এনে দলকে আরও সংগঠিত করব।

রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাছিমা জামান ববি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের জনসভা দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের সবকটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করবে।

লালমনিরহাট জেলা কমিটির সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা, গ্যাসলাইন সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি এই জেলার মানুষকে আশান্বিত করেছে। তাই দলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম