ক্যাম্প পরিদর্শনে ইইউ প্রতিনিধিদল
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এ সময় তাদের কাছে রাখাইনে নিজেদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতনের বর্ণনা দেন রোহিঙ্গারা।
পাশাপাশি তারা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কথাও জানান। রোহিঙ্গারা বলেন, ‘চীনের মধ্যস্থতায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা চলছে। কিন্তু রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। ফিরে যাওয়ার আগে আমাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এরপর মর্যাদার সঙ্গে ইউএনএইচসিআর-এর মধ্যস্থতায় ফিরতে চাই।’
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আকাশপথে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার মধুরছড়া ক্যাম্পে যান।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প-১৮ আশ্রয়শিবিরে জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম, ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত ই-ভাউচার সেন্টার পরিদর্শন করেন।
দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্প-৪-এ তারা ইউএনএইচসিআর-এর কমিউনিটি সেন্টারে ১৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় রোহিঙ্গা নেতারা রাখাইনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, সম্পদ লুটের বিবরণ তুলে ধরেন। একজন রোহিঙ্গা নারী আশ্রয়শিবিরে দাতাগোষ্ঠীর সাহায্য কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আগে প্রতি পরিবার ১০ ডলার করে পেত। এখন পায় আট ডলার। এ দিয়ে একটি পরিবারের চলতে কষ্ট হয়।’
রোহিঙ্গা নেতা কামাল আহমদ বলেন, ‘সম্প্রতি আশ্রয়শিবিরে খুনখারাবি-অপহরণ, চাঁদাবাজি বেড়ে গছে। সাধারণ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।’
দুপুর দেড়টার দিকে ইইউ-এর প্রতিনিধিদল আশ্রয়শিবিরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম পরিচালিত কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন করে।