বিদায়ি অর্থবছর ২০২২-২৩
পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডলার, ফাইল ছবি
বিদায়ি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। বিদায়ি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ৪.২১ শতাংশ কম হয়েছে। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৬.৬৭ শতাংশ।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে। জানা যায়, একক মাস হিসাবে জুনে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। জুন মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৫৬ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫০৩ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৯.৬১ শতাংশ। আর গত বছর (২০২২) একই সময় আয় হয়েছে ৪৯০ কোটি ডলাল। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২.৫১ শতাংশ।
ইপিবি’র তথ্যমতে, বিদায়ি অর্থবছরে (২০২২-২৩) জুলাই থেকে জুন মাসে গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার। আয় বেশি হয়েছে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১০.২৭ শতাংশ। একই ভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪৪ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ১২২ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ১৫.০৩ শতাংশ। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময় আয় হয়েছে ১২৪ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ২০ কোটি ৯ লাখ ডলার। আয় বেশি হয় ৪.৯৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় হয় ১৬ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৬.২৩ শতাংশ।
কৃষি পণ্য রপ্তানিতে আয় ও প্রবৃদ্ধি কোনোটাই অর্জন হয়নি। পণ্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩৯ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৮৪ কোটি ডলার। আয় কম হয়েছে ৩৯.৫৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৭.৪৭ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২৮ কোটি ডলার। আয় হয় ৯১ কোটি ডলার। আয় ২৮.৭৩ শতাংশ কম হয়েছে ও প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ১৯.১ শতাংশ।