Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সাক্ষাৎকারে আনোয়ারুজ্জামান

উন্নত নগরী হবে সিলেট

Icon

সংগ্রাম সিংহ, সিলেট

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উন্নত নগরী হবে সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন ২১ জুন। ২১ দফা উন্নয়নের ইশতেহার নিয়ে ওই দিনের ভোটযুদ্ধে আছেন নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এই নির্বাচনে শীর্ষ লড়াইয়ে আছেন তিনি এবং লাঙ্গলের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দুই নেতাই সিটি নির্বাচনে এই প্রথম লড়ছেন। তবে নৌকার প্রার্থী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সর্বস্তরের নগরবাসী একাট্টা। তারা নৌকার বিজয় চায়, নগরীর উন্নয়ন চায়। শুধু আবহাওয়া নিয়ে টেনশনে। তারপরও সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও অনেক বিষয়েই কথা বলেন।

এই প্রথম সিটি মেয়র পদে লড়ছেন, এটা কেমন চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিচ্ছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সিলেটের সন্তান। এই সিলেটেই আমার জন্ম, লেখাপড়া। রাজনীতির শুরুও সিলেটেই। এর অনেক পরে লন্ডন গিয়েছি। বিদেশে থাকায় উন্নত বিশ্বের অনেক নগরী দেখার সুযোগ হয়েছে। সেসব নগরীর কাতারে আমার সিলেটকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই প্রার্থী হয়েছি। আমি ইয়াং, এনার্জেটিক, কাজ করতে পারব। নগরবাসী ভোট দিলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।

তিনি বলেন, নগরবাসী অনেক সচেতন। তারা উন্নয়ন চায়। আর কার মাধ্যমে কাজ হবে, সেটাও জানেন। এটা আমার জন্য বিরাট একটা অ্যাডভান্টেজ। এজন্যই অল্পদিনেই সিলেটের মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিপুল ভোটে নৌকা বিজয়ী হবে। পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ, জরিপেও এই তথ্য উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বানচালে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে; কিন্তু মানুষ তার মৌলিক অধিকারের প্রয়োগ চায়। গণতন্ত্র মানেই ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল অ্যান্ড ফর দ্য পিপল’। জনগণ নির্বাচনমুখী বলেই নির্বাচন হচ্ছে। এমনকি গুটি কয়েক নেতা ছাড়া দল-বল ছেড়ে বিএনপির একঝাঁক নেতা মেয়র ও ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। তারপরও কেউ কি বলতে পারবে বিএনপি নির্বাচনে নেই? সবাই নির্বাচনমুখী।

দলের অভ্যন্তরের দ্বন্দ্ব, কোন্দল আর মনোনয়নবঞ্চিতদের ব্যাপারে প্রশ্ন রাখলে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, দলে এখন কোনো দ্বন্দ্ব-কোন্দল নেই। এটা অতীতে কখনোই ছিল না। দেখেন, নির্বাচনে দলের যোগ্য আরও ১০ জন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল একক প্রার্থীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সবাই আমাকে আর নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রাতদিন নৌকার জন্য খাটছেন, সার্বক্ষণিক গাইড করছেন। এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটা বিরাট গুণ। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়; অঙ্গ, সহযোগী এবং সর্বস্তরের নগরবাসী নৌকার বিজয় নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ। তবে নগর ভবন নগরবাসীর। সেখানে কোনো ‘অকারেন্স’ ঘটানো যাবে না। দলীয়, নির্দলীয়-যেই হোন, যিনি ঘটাবেন, তিনিই ‘গিলটি’ হবেন-মেসেজ ক্লিয়ার।

নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না-এমন প্রশ্নে নৌকার প্রার্থী বলেন, আল্লাহর দয়া চাই, আর যেন বৃষ্টি না নামে, বন্যা না হয়। নগরবাসী যেন সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন। এটাই আমার বড় আশঙ্কা।

নির্বাচন কমিশনে তথ্য গোপনের অভিযোগ সম্পর্কে নৌকার প্রার্থী বলেন, আমি তো তথ্য গোপন করিনি। সব স্যাবোটাজ। আমার সার্টিফিকেট, সম্পদ, সব দিয়েছি। ইংল্যান্ডে বিজনেস আছে, বাড়ি আছে, ইনকাম লন্ডনে আছে। নির্বাচন কমিশনে বিধি নেই, তাই এসব দিইনি। আমি মিথ্যার আশ্রয় নিইনি। যা আছে, তা দিয়েছি। এসব রটিয়ে প্রতিপক্ষ নৌকার ক্ষতি করতে চায়, কোনো লাভ হবে না। নগরবাসী নৌকার পক্ষে একাট্টা।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কিছু কাজ ভালো করেছেন। যদিও কিছু কাজ অপরিকল্পিত। কামরান ভাইও অনেক কাজ করেছেন। তাদের শুরু করা কাজগুলো সুপরিকল্পিতভাবে আগামী দিনে এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন, প্রকৃতিকন্যা বলা হতো সিলেটকে। সুন্দরী শ্রীভূমিও বলা হতো। সেই নামের সঙ্গে বাস্তবতার মিল আনতে চাই সিলেটের।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, মাস্টার রোলে নগর ভবনে কিছু গরিব মানুষ চাকরি পেয়েছেন। তাদেরকে মানবিক কারণে বাদ দেওয়া যাবে না। তবে কোনো অবৈধ নিয়োগ মেনে নেওয়া যাবে না। নগর ভবনে দুর্নীতি, বাণিজ্য, অবৈধ কর্মকাণ্ডের কিছুই থাকবে না যদি নির্বাচিত হই।

ফলাফল পক্ষে বা বিপক্ষে যদি যায়, সেক্ষেত্রে কী ভূমিকা থাকবে-এমন প্রশ্নে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, নগরবাসীর ভোটে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেই সিদ্ধান্তই মাথা পেতে নেব। তিনি বলেন, আমি যদি পরাজিতও হই, ফুল নিয়ে যাব বিজয়ীর কাছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম