Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সিসিক নির্বাচন

সিলেটে শত প্রার্থীর ৫ শতাধিক মামলা

Icon

সংগ্রাম সিংহ, সিলেট

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেটে শত প্রার্থীর ৫ শতাধিক মামলা

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৪২টি ওয়ার্ডে ভোটযুদ্ধে আছেন ২৮৬ প্রার্থী। এদের মধ্যে ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৫ শতাধিক। কোনো কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিন ডজন মামলাও রয়েছে। তবে প্রার্থীদের দাবি, এসব মামলা রাজনৈতিক, প্রতিহিংসা-ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। অনেক মামলা থেকে অনেকে অব্যাহতিও পেয়েছেন।

নির্বাচনি মামলায় ৭ নং ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান মনোনয়ন হারিয়েছেন। একই ওয়ার্ডে তার প্রতিপক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের অনুসারী সায়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মনোনয়ন মামলার কারণে তোপের মুখে। কোনো কোনো ওয়ার্ডের সব প্রার্থীই মামলায় অভিযুক্ত আবার কোনো কোনো ওয়ার্ডের কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা নেই। কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তারা অব্যাহতি পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের নিজেদের দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মামলা থাকার শীর্ষে রয়েছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. সোহেল রানা। এর মধ্যে ২৭টি মামলা বিচারাধীন। তার পর পরই মামলার সংখ্যা বেশি আরও দুই প্রার্থীর। তারা হচ্ছেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মঞ্জুর রহমান ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আলতাফ হোসেন সুমন। মঞ্জুর নামের ২৩ মামলার ১০টিতে খালাস পেয়েছেন। আর সোহেল রানা খালাস পেয়েছেন ৪ মামলা থেকে। এদিকে ৪, ১৭, ১৮, ১৯, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের কারও বিরুদ্ধে এখন কোনো মামলা নেই।

১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ তৌফিকুল হাদীর দুই মামলাই বিচারাধীন।

২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. রাজিক মিয়ার বিরুদ্ধে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ লায়েক ৩ মামলার মধ্যে ২ মামলায় খালাস।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ মো. সাহেদ সিরাজের বিরুদ্ধে ২ মামলা বিচারাধীন। মো. রিমাদ আহমদ রুবেল ৭ মামলার মধ্যে ৬টিতে খালাস।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুমনের ৪ মামলা বিচারাধীন। ফরহাদ চৌধুরী শামীম ৯ মামলার ৮ মামলা বিচারাধীন, একটি স্থগিত।

৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের মনোনয়ন দুদিন আগে বাতিল হয়েছে মামলার কারণে। যার মামলায় আফতাবের মনোনয়ন বাতিল সেই প্রতিদ্বন্দ্বী সায়ীদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মনোনয়নও তোপের মুখে। সায়ীদের ১৪ মামলার মধ্যে ৮টি বিচারাধীন। আরেক প্রার্থী জাহিদ খান সায়েকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিচারাধীন।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছের বিরুদ্ধে একটি মামলা তদন্তাধীন। অপর প্রার্থী ফয়জুল হক ১৩ মামলার ৪টিতে খালাস। মোহাম্মদ রানা আহমেদ ১০ মামলার ২টিতে খালাস। বিদ্যুৎ দাস ৪ মামলার একটিতে খালাস। জগদীশ চন্দ্র দাসও একটি মামলার আসামি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাবুল খান ৭ মামলার ৫ টিতে খালাস।

১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. মোস্তফা কামালের ৩ মামলার মধ্যে দুটি বিচারাধীন। মো. তারেক উদ্দিন তাজের ৩টি মামলা বিচারাধীন। দুই মামলা বিচারাধীন গোলাম কিবরিয়া মাসুকের। মো. আব্দুল হাকিমের ৮ মামলাই চলমান। মো. আফতাবের ৪ মামলার মধ্যে একটিতে খালাস। মো. ছাইনুর রহমানের ৪ মামলা বিচারাধীন।

১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ প্রার্থীরই বিরুদ্ধেই মামলা ছিল। আব্দুর রহিম মতচ্ছির ২ মামলার একটিতে খালাস। মীর্জা এম. এস. হোসেনের ৪ মামলাই বিচারাধীন।

১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির ৮ মামলার মধ্যে ৪টিতে খালাস।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শান্তনু দত্তের একটি মামলা, সেটাও উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মুনিম দুটি মামলার আসামি।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আব্দুল গাফফার এক মামলায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মুজিবুর রহমান দুটি মামলার আসামি।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মুহিত জাবেদ দুটি মামলার আসামি।

১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এ.বি.এম. জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ৪ মামলার, মো. শামছুর রহমান কামাল ৫ মামলার আসামি। এর মধ্যে কামালের ৩টি মামলা বিচারাধীন।

২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ৮ মামলার ৭ মামলাতেই খালাস। মিঠু তালুকদারের ৪ মামলার ৩ টিতেই খালাস।

২১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আসাদ বখত জুয়েল ২ মামলার আসামি। মো. সাহেদুর রহমানের ৩ মামলার মধ্যে একটিতে খালাস। গোলাম রহমান চৌধুরী ৪ মামলার মধ্যে ৩ মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন।

২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ছালেহ আহমদ সেলিম ৫ মামলার ৪ টিতে খালাস। মোহাম্মদ দিদার হোসেনের ৪ মামলার ৩ টিতে খালাস। মো. বদরুল আজাদ রানার ৮ মামলার মধ্যে ৬ টি চলমান। মো. ইব্রাহিম খান সাদেক ৩ মামলার আসামি।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মামুনুর রহমান মামুন ৩ মামলার একটিতে খালাস।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল আহমদ রিপনের ২ মামলা। অপর প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ২ মামলার মধ্যে একটিতে খালাস, অপরটি স্থগিত।

২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল জলিল নজরুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। আরেক প্রার্থী শাহীন আহমদ ৪ মামলার একটিতে খালাস পেয়েছেন।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্বাছ আলী ৩ মামলার আসামি। অপর প্রার্থী সোহেল রানা ৩৫ মামলার মধ্যে ৮টিতে খালাস পেয়েছেন। বর্তমানে আদালতে ২৭ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লাহিনুর রহমান লাহিন ২ মামলার আসামি। একটি থেকে অব্যাহতি পেলেও অন্যটি বিচারাধীন রয়েছে।

৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিম আহমদ জাবেদ ২ মামলার আসামি। সানর মিয়া ৪ মামলার আসামি। রাজু মিয়ার ২টি ও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মকসুদ আহমদের ১১ মামলার মধ্যে ৯টি বিচারাধীন।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইলিয়াছ মিয়ার ৩ ও মো. আব্দুল মুকিতের ২ মামলা বিচারাধীন।

৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হান্নান ৩ মামলার মধ্যে দুটিতে খালাস পেয়েছেন। সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের ৪ মামলার মধ্যে তিনটি চলমান। মো. রুহেল আহমদ ৪ মামলার আসামি, চলমান ৩টি। স্বপন আহমদ রুমনের ৭ মামলাই বিচারাধীন রয়েছে।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন ৬ মামলার ২টিতে খালাস। দেলোয়ার হোসেন ৪ মামলার একটিতে খালাস। সেলিম আহমদ ৫ মধ্যে ৩টি চলমান। মো. হুমায়ূন কবির চৌধুরী ও শাহজাহান আহমদ খাদিমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা বিচারাধীন। মঞ্জুর রহমানের ২৪ মামলার মধ্যে ১০টিতে তিনি খালাস।

৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান পংকি ৪ মামলার মধ্যে একটিতে খালাস। কাজী মো. রুনু মিয়া মঈন ৬ মামলার আসামি। এর মধ্যে ৪ মামলায় খালাস।

৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৩ মামলার মধ্যে দুটি থেকে অব্যাহতি ও একটি বিচারাধীন।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিরণ মাহমুদ নিপু ৬ মামলার মধ্যে ৪টিতে খালাস। তজমুল ইসলামের দুটি মামলা চলমান।

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. পারভেজ আহমদ ৩ মামলার মধ্যে একটিতে, মো. রিয়াজ মিয়া ৪ মামলার মধ্যে একটিতে, দিলোয়ার হোসেন জয় ৫ মামলার মধ্যে একটিতে খালাস পেয়েছেন।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বেলাল আহমদ ১৪ মামলার মধ্যে ৫টিতে খালাস। উসমান হারুন পনির ৩ মামলার মধ্যে ১ মামলায় খালাস। মো. হেলাল উদ্দিন ৩ মামলার মধ্যে ২ মামলায় অব্যাহতি পান। মো. জাকারিয়া ৭ মামলার মধ্যে ৬টি চলমান।

৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলতাফ হোসেন সুমন ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই। শুধু সুমনের নামেই ২৩ মামলা। এর মধ্যে ১৮ মামলাই বিচারাধীন।

৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হাছিব ২ মামলার আসামি, বিচারাধীন।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জিয়াউর রহমান ৩ মামলার একটিতে খালাস। নাজির আহমদ স্বপন ২ মামলা চলমান।

৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাফিজ খানের ৩ মামলা ও মনজুরুল আরিফিন শিকদারের (সুমন) বিরুদ্ধে দুটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম