Logo
Logo
×

শেষ পাতা

দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই

Icon

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই

তাপমাত্রা মাপনযন্ত্রের পারদ ছুঁইছুঁই করছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এর ওপর ঘন ঘন বিদ্যুতের ভেলকিবাজি খেলা। এ দুইয়ের সমন্বয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তর জনপদ দিনাজপুরের মানুষের জনজীবন। তীব্র দাবদাহ আর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উত্তরের এ জেলার মানুষ।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিন ধরেই দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সোমবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি

সেলসিয়াসে। আর বুধবার দিনাজপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার দিনাজপুরে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৫ শতাংশ। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ অঞ্চলে বিরাজ করছে দাবদাহ।

প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে গত কয়েকদিন থেকে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে দেখা মিলছে না ২-৩ ঘণ্টা। নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই এলাকা ভাগ করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

নেসকো’র দিনাজপুর ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান জানান, তার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। যদিও তীব্র গরমে এসিসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

নেসকো’র দিনাজপুর ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কালাম জানান, তার এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ১৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ কম পাওয়ায় এলাকাভিত্তিক ভাগাভাগি করে লোডশেডিং দেওয়ার কথা জানান নেসকো’র এ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার বাসিন্দা সলিলেশ্বর বসাক জানান, একবার বিদ্যুৎ গেলে ২-৩ ঘণ্টা কোনো খবর থাকে না। তিনি বলেন, দিনে বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনোরকমে কষ্ট করে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু রাতে একবার বিদ্যুৎ গেলে আর বিছানায় থাকা যায় না।

শহরের রাজবাটী এলাকার সাদেকুল ইসলাম জানান, অসহনীয় গরমে অসহনীয় লোডশেডিং। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। গ্রামাঞ্চলে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ৪-৫ ঘণ্টা আর বিদ্যুতের দেখা মিলছে না বলে জানান গ্রামের মানুষ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম