Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কেসিসি নির্বাচন

কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার কত সম্পদ

Icon

নূর ইসলাম রকি, খুলনা

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কাউন্সিলর প্রার্থীদের কার কত সম্পদ

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিত্তশালী রয়েছেন দুই ডজনের বেশি। যাদের অনেকেরই বছরে আয় কোটি টাকার ওপর। সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মধ্যে সম্পদের দিক দিয়ে ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু এবং সংরক্ষিত ৬ ওয়ার্ডের সাবিয়া ইসলাম এগিয়ে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সাধারণ ১নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান খান খোকনের সোনালী ও উত্তরা ব্যাংকে নিজ ও স্ত্রীর নামে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। এছাড়া উত্তরা ব্যাংকে নিজ ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ টাকার বেশি ডিপিএস আছে। ৬নং ওয়ার্ডের শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদের ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৬২ লাখ টাকা। ৭নং ওয়ার্ডের সুলতান মাহামুদের ব্যাংকে নিজ নামে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, ট্যাংকলরি ২টি, পণ্যবাহী নৌযান রয়েছে।

৯নং ওয়ার্ডের কাজী সরয়ার-উল-আযমের নিজ নামে ৫২ লাখ এবং স্ত্রীর নামে ৫৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। ১২নং ওয়ার্ডের তাহিদুল ইসলামের বছরে আয় ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এছাড়া তার স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা। ১৩নং ওয়ার্ডের এসএম খুরশিদ আহম্মেদের বছরে আয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ১৬নং ওয়ার্ডের শেখ হাসান ইফতেখারের সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১৫ লাখ টাকার। ১৭নং ওয়ার্ডের শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজের স্থায়ী আমানত রয়েছে ৩১ লাখ টাকা। ২০নং ওয়ার্ডের শেখ গাউসুল আজমের ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং সঞ্চয়পত্র রয়েছে ২৫ লাখ টাকা। ২১নং ওয়ার্ডের মোফাজ্জেল হোসেন ১০ লাখ টাকার এফডিআর।

২২নং ওয়ার্ডের তাজুল ইসলামের ব্যাংকে রয়েছে আড়াই কোটি টাকা। একই ওয়ার্ডের অহিদুল ইসলামের ৬১ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকে আছে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২৬নং ওয়ার্ডের গোলাম মাওলা শানুর ৬ লাখ টাকার প্রাইজবন্ড। ২৭নং ওয়ার্ডের এসএম রফিউদ্দিন আহম্মেদের বছরে ব্যবসা থেকে আয় ৯৪ লাখ টাকা। ২৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মাদ জিয়াউল আহসানের ব্যাংকে এফডিআর ৩৫ লাখ। ২৯নং ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলামের শেয়ার ক্রয় বাবদ ৫৪ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১১ লাখ টাকার সেভিংস ও ডিপিএস রয়েছে।

এছাড়া সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডের রাফিজার বছরে আয় ৩ লাখ টাকা। নগদ টাকা ৩৭ লাখ ৮০ হাজার, স্বর্ণ ২৫ ভরি রয়েছে। এছাড়া অকৃষি জমি, দালান বাড়ি ও এপার্টমেন্ট রয়েছে। এসবের দুই ভাগের ১ ভাগ মালিকানা তার।

৪নং ওয়ার্ডের মর্জিনা বেগমের শেয়ার রয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩২৮ টাকা, ব্যাংক আমানত ১০ লাখ, নগদ আছে ১০ লাখ, ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সংরক্ষিত-৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী সাবিয়া ইসলামের বছরে আয় ২ লাখ ৬০ হাজার, স্বামীর নামে নগদ ২৮ লাখ ৮৫ হাজার, নিজ নামে ব্যাংকে ৪ লাখ, স্বামীর নামে শেয়ার কেনা ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১৭ লাখ, স্বর্ণ ১১ ভরি এবং স্বামীর নামে জিপিএফ ২৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা রয়েছে। ৬ ওয়ার্ডের মাহমুদা বেগম বাড়ি ভাড়া বাবদ বছরে ১ লাখ ৩৫ হাজার এবং কাউন্সিলরের ভাতা বাবদ বছরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পান। এছাড়া তার নিজ নামে নগদ টাকা ২০ লাখ ৪০ হাজার, স্বামীর নামে নগদ ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা আছে। ৯নং ওয়ার্ডের প্রার্থী নুপুর দাসের মেডিসিনের ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা।

তার কাছে নগদ টাকা ৫ লাখ ৫৮ হাজার, স্বামীর নামে ৫ লাখ, নিজ নামে স্বর্ণ আছে ১৫ ভরি। এছাড়া ১০ ভরি স্বর্ণ আছে ৫নং ওয়ার্ডের প্রার্থী তাসলিমা আক্তার ও ফারহানা রহমানের, ৮নং ওয়ার্ডের রোকেয়া রহমানের ১৫ ভরি ও হালিমা ইসলামের ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডের সাবিয়া ইসলামের স্বর্ণ আছে ১১ ভরি। আর ২০ ভরি স্বর্ণ আছে ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মিসেস রেহেনা গাজীর।

উল্লেখ্য, আসন্ন ১২ জুনের কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম