Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বরিশাল সিটি নির্বাচন

ভোটযুদ্ধে মহানগর বিএনপির নেতারা

লড়াইয়ে সাবেক মেয়র কামালের ছেলে রুপনও

Icon

সাইদুর রহমান পান্থ, বরিশাল

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভোটযুদ্ধে মহানগর বিএনপির নেতারা

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল মহানগরের ১৭ জন বিএনপি নেতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাত সদস্য এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের পদধারী ১০ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এমনকি বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবীব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রুপন মেয়র পদে লড়াই করছেন। বর্তমানে তার কোনো দলীয় পদ নেই। তবে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ছিলেন। মহানগর বিএনপির দাবি-যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করছেন তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের পঞ্চমবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে ৯নং ওয়ার্ডে হারুন অর রশিদ, ১৯নং ওয়ার্ডে শাহ মো. আমিনুল ইসলাম এবং ৬নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান টিপু অংশ নিচ্ছেন। মহানগর কমিটির সদস্যদের মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডে সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম, ৮নং ওয়ার্ডে সেলিনা বেগম এবং ১০নং ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন নির্বাচন করছেন। এছাড়া ১৮নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড শাখার সদস্য সচিব জিয়াউল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আবদুল্লাহ সাদি ও তাঁতি দলের সাবেক জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোহম্মদ সাহিন মোহন নির্বাচন করছেন।

পদ না থাকলেও ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪নং ওয়ার্ডে মো. ইউনুস, ২৪নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬নং ওয়ার্ডে ফরিদউদ্দিন হাওলাদার, ২৮নং ওয়ার্ডে হুমায়ন কবির ও সংরক্ষিত ৬নং ওয়ার্ডে মহিলা দলনেত্রী মজিদা বোরহান অংশ নিচ্ছেন।

৯নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ বলেন, দল দলের সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এলাকাবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আবার নির্বাচন করতে হচ্ছে। এখন সরে গেলে ঠিক হবে না। ১৯নং ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এজন্য দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করছি। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মাথা পেতে নেব। তিনি আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডের মানুষ পরিবর্তন চায়। এ ওয়ার্ডের দায়িত্ব তারা আমাকে দিতে চায়। তাই আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।

সংরক্ষিত ১০নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মহানগর বিএনপির সদস্য রাশিদা পারভীন বলেন, এ ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। এবারও নির্বাচিত হব। জনগণের স্বার্থে নির্বাচন করছি। দল যদি মনে করে বহিষ্কার করা উচিত, করুক। আমাদের তো করার কিছু নেই। জেলা তাঁতি দলের সাবেক সভাপতি ও ১৮নং ওয়ার্ডের প্রার্থী কাজী মো. শাহিন মোহন বলেন, আমি এখন দলীয় পদে নেই। এছাড়া আমার কাছে মনে হচ্ছে-এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমি মাঠে নেমেছি। ১৮নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য সচিব জিয়াউল হক বলেন, জনগণের সমর্থনে আমি নির্বাচন করছি। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছি।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কামরুল আহসান রুপন তার নির্বাচনি লিফলেটে নিজেকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রুপন বলেন, বিএনপির সমর্থক-নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বর্তমান সরকারের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাই তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মাঠে নিমেছেন। নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে। এ কারণ আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এদিকে মহানগর বিএনপির দাবি-রুপন বিএনপির কেউ নন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে পালন করা হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে ‘আজীবন বহিষ্কার’ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম