
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
সব জল্পনা ব্যর্থ করে দিয়ে তুরস্কের নির্বাচনের প্রথম দফার ফলাফলে আবারও জয়ী হলেন রিসেপ তায়েপ এরদোগান। রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে অবশ্য অল্পের জন্য তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। তাই এ নির্বাচন গড়াচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। তুরস্কের হাই ইলেকশন বোর্ড (ওয়াইএসকে) প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। খবর আলজাজিরা, রয়টার্স।
ওয়াইএসকে প্রধান বলেন, এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট তায়েপ এরদোগান এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে কেউই জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। তাই ২৮ মে তাদেরকে আবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
ওয়াইএসকে চেয়ারম্যান আহমেত ইয়েনার সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার ভোট গণনা বাকি রয়েছে। রোববারের নির্বাচনে এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি পেয়েছে ৪৯.৫১ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লুর ন্যাশন অ্যালায়েন্স ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
তবে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের এই ফলাফল প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জন্য স্বস্তিদায়ক। কারণ, ভূমিকম্প, অর্থনীতি, কর্মসংস্থানসহ নানা ইস্যুতে বর্তমান সরকারের প্রতি দেশবাসীর ক্ষোভ রয়েছে। জনমত জরিপেও এগিয়ে ছিলেন বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী। সব মিলিয়ে এরদোগানকে বেশ দুর্বল ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে চমক দেখিয়েছেন ৬৯ বছরের এরদোগান।
এরদোগান সোমবার বলেন, আমরা প্রতিপক্ষের তুলনায় এরই মধ্যে ২৬ লাখ বেশি ভোট পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে। নীতিমালা অনুসারে, ৫০ ভাগের ওপর সমর্থন পেতে আমরা মাত্র এক শতাংশ পিছিয়ে ছিলাম। ভোটাররা যদি ভেবে থাকেন, এটাই তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটও তার পক্ষেই যাবে। কারণ, পার্লামেন্টে তার জোট এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, ছয় দলীয় বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগ্লু বলেন, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে, অপমান করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি এরদোগান। বরং ভোট চুরি-জালিয়াতির নানা অভিযোগ মিলেছে। প্রেসিডেন্টকে বলব, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেই নির্বাচনে জয় পাওয়া যায় না।
জনতা রান-অফের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে, যা মাথা পেতে নিয়েছি আমরা। ইনশাল্লাহ, দ্বিতীয় দফায় আমাদের জয় নিশ্চিত। তিনি বলেন, আমরা জয়ী হয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এরদোগান জাতির আস্থা হারিয়েছেন। এখন দেশে পরিবর্তন প্রয়োজন।