বরিশাল সিটি নির্বাচন
লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থীদের অভিযোগ পক্ষপাতিত্বের
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দুদল নির্বাচন কমিশনের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে।
নির্বাচনি মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন হাতপাখার প্রার্থী । আর লাঙ্গলের প্রার্থী চেয়েছেন সেনা মোতায়েন। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ১২ জুন এ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার নগরের কাউনিয়া এলাকায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় ইসির নির্দেশে পুলিশ বাধা দেয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বরিশালে আসা ও গাড়িবহর নিয়ে তাকে স্বাগত জানানোর ঘটনায় লাঙ্গলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে নোটিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই নোটিশের জবাব দিয়েছেন তাপস।
বরিশাল নগরে প্রবেশের মুখে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের উপনেতা জিএম কাদেরের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলবহরকে পুলিশ আটকে দেয়। মোটরসাইকেলবহর নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা তদন্তে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা সিকদার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান বরিশালে এলে আমি তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এতে নাকি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমি নাকি শোডাউন করেছি। শনিবার আমি লিখিত জবাব দিয়েছি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (রিটার্নিং কর্মকর্তা) পক্ষপাতিত্ব করছেন। লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন লেগেছেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার কাউনিয়ার একটি ওয়ার্ডে পার্টির সাংগঠনিক সভা ছিল। সেখানে ভোটের কিছু নেই। এমনকি আমারও সেখানে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন পুলিশ পাঠিয়ে সভা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নৌকার প্রার্থী প্রতিদিন সভা করছেন। তাদের কিছুই বলা হচ্ছে না। পক্ষপাতিত্ব করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে, শুক্রবার রাতে নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভোটের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় আছি, তবে আশা ছাড়িনি। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চাই না। এজন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন চাই। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট চাই। প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা চাই। যাতে কেউ পেশিশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা সভাপতি এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক, দলের নির্বাচনি মিডিয়া সেল প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন টিটু প্রমুখ।
এদিকে নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডে আমির কুটিরসহ বিভিন্ন এলাকার হরিজন সম্প্র্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে একটি জবাবদিহি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। নগরী থেকে জলাবদ্ধতা দূর করে বসবাসের উপযোগী করা হবে। ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন লাবুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর কোহিনুর বেগম, মহিলা আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি ফেরদৌস জাহান মুন্নি, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান মধু প্রমুখ।