মহানগর বিএনপির সভায় সিদ্ধান্ত
কেসিসি নির্বাচনে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি কোনো প্রার্থীর পক্ষে তারা প্রচার চালাতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এদের যত তাড়াতাড়ি বিদায় করা যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল হবে। যেহেতু বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না সেহেতু দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং কারও পক্ষে প্রচারও চালাতে পারবেন না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনটা কেউ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত নেতারা বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। মামলা নেই তারপরও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী মো. রাশেদ, স ম আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, ফকরুল আলম, জালাল শরিফ, আ. রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, বেগ তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।