Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সাপ্তাহিক বাজার দর

৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা

চিনির দামও বাড়ছে হু হু করে * পেঁয়াজ আদা রসুন জিরা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা

৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ টাকা

ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও আবার বাড়তে শুরু করেছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার, নয়াবাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকায়ও লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ৩৫ টাকা বেড়েছে। আর সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, পেঁয়াজ ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, রসুন ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং জিরা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদা ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা সাত দিন আগে ২১৫ টাকা ছিল। নয়াবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বাজারে মুরগির কোনো সংকট দেখছি না। অথচ বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন, আবার কমাচ্ছেন। ঈদের আগে ২১০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনেছি, এখন ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। মুরগি নিয়ে কি শুরু হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।

মুরগি বিক্রেতা নূরে আলম বলেন, বড় খামারিরা মুরগির দাম নির্ধারণ করে এবং পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। রাতে কাপ্তান বাজারে তারা দাম নির্ধারণ করেন। সেখানে তদারকি সংস্থা অভিযান চালালে প্রমাণ পাবে। আমরা খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধি করি না। কিছু মুনাফা রেখে আমরা মুরগি বিক্রি করি। তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজারে এক ধরনের নৈরাজ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ১২০ টাকা ছিল। পাশাপাশি প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাত দিন আগে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। যা আগে ছিল ১২০ টাকা। আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকা ছিল। আমদানি করা আদা কেজিপ্রতি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাত দিন আগে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা কেজি, যা সাত দিন আগে ৭০০ টাকা ছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম