সুপ্রিমকোর্টেও নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনব্যবস্থাও ভেঙে দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো ভেঙে দিচ্ছে। তাদের নিজস্ব বিধিবিধান, সংবিধান চালু করেছে।
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বৃহস্পতিবার সকালে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
সুপ্রিমকোর্টের ঘটনা টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বুধবার যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যা জাতির জন্য, এ দেশের বিচারব্যবস্থার জন্য জঘন্যতম ঘটনা। এ ঘটনাই প্রমাণ করে, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কী। দেশে বর্তমানে কোনো গণতন্ত্র তো নেই-ই, আইনের শাসনও নেই। কোনো সরকার আছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বরাবরই সুষ্ঠু হয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা একটা আদর্শ নির্বাচন। এখানে যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা আইনজীবী। এখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়। বুধবার তাদের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। এর কিছুদিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে চাইছি। তারাই দেশের ভোট ও নির্বাচনব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।
কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এ নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী) সাপোর্ট করেন, তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করে চাটুকারিতার চরম শীর্ষে যান; তখন খুব কষ্ট হয়-এই বাংলাদেশ কি চেয়েছিলাম? এই বাংলাদেশ চাইনি। চেয়েছি সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ।
যমুনা নদী ছোট করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমাদের হাজার বছর ধরে প্রবহমান যমুনা নদী। আপাতত কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এটাকে ছোট করে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে। এটাকে কী বলবেন?
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব।
বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) কারি মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ।