পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং
তিস্তায় খাল খনন পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পশ্চিম বঙ্গে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খনন খবরের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ঢাকা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
খাল খননের খবর সত্য হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে জানানো হবে। দুই দেশের বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় রেখেই তা করা হবে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জনকূটনৈতিক বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সেহেলী সাবরীন এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন ইভেন্ট ও বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং অর্জন তুলে ধরেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সঠিক সমাধান হলো টেকসই ও স্বেচ্ছায় ফেরত নেওয়া। ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে ধীরগতির বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম বঙ্গের সেচ বিভাগ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননে ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়বে-টেলিগ্রাফের এমন খবর সম্পর্কে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেহেলী সাবরীন বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আসন্ন ইউএন ওয়াটার কনফারেন্সে বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তোলা হবে। তবে এর আগে ওই খবরের সত্যতা খোঁজা হচ্ছে।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক ও ‘রজিনা ডায়ালগ’, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের ঢাকা সফর, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেন্ট বৈঠকের বিষয়ও ব্রিফিংয়ে তুলে ধরা হয়। জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বৈশ্বিক অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত এখন বাংলাদেশকে অংশীদার হিসাবে পাশে রাখছে।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ৭ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা তহবিলের অর্থ সংগ্রহে যৌথ রেসপনস প্ল্যান-২০২৩ (জেআরপি) উদ্বোধন করা হয়। স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনকে প্রথম লক্ষ্য হিসাবে জেআরপিতে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ‘রজিনা ডায়ালগ’ প্রসঙ্গে বলা হয়, সেখানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সক্রিয় সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
১০-১২ মার্চ যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের ঢাকা সফরের বিষয় তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরের মূল লক্ষ্য হলো জলবায়ু কর্মসূচিতে দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা বাড়ানো। ফরেন অফিস কনসালটেন্ট বৈঠকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড চলতি বছর ঢাকায় যৌথ বাণিজ্য কমিটি (জেটিসি) আয়োজনে সম্মত হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।