Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ভারতে ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙল ফেব্রুয়ারির গরম

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতে ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙল ফেব্রুয়ারির গরম

গ্রীষ্মকাল পুরোদমে শুরু হয়নি। তার আগেই ফেব্রুয়ারির গরম ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ১৯০১ সাল থেকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু করে।

সেই থেকে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ছিল মাসিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রার হিসাবে দেশটির সবচেয়ে উষ্ণ মাস। গত মাসে ভারতে দিনের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। যেখানে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আইএমডি। খবর- হিন্দুস্থান টাইমসের।

ভারতের জন্য আরও উদ্বেগের বিষয় হলো দেশটির আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সামনের মাসগুলোতে গরমের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। ফলে বিগত সময়ের মতো তীব্র তাপদাহের কারণে ভারতে খাদ্যশস্যের ফলন কম ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

আইএমডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, পূর্ব ও মধ্য ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের কিছু অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। সেইসঙ্গে আগামী তিন মাসে মধ্য ও পার্শ্ববর্তী উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশটির কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের কিছু অংশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আর গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানেও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি থাকায় রাতেও গড় তাপমাত্রা বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি হলো ভারত। প্রতি বছর দেশটিতে বন্যা, তীব্র খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। গত বছরের মার্চ ছিল ভারতে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস। পাশাপাশি দেশের অনেক জায়গায় ছিল তীব্র খরা। তাতে শস্যের ফলন কমে যায়। এ বছরও যে সতর্কবার্তা জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ, তাতে বিশ্বের দ্বিতীয় গম উৎপাদনকারী দেশটির মানুষের জনজীবন আবারও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম