Logo
Logo
×

শেষ পাতা

পরিবহণ পুল পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবহণ পুল পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর

সরকারি পরিবহণ পুলের পরিচালক (সড়ক, নন-ক্যাডার) আলমগীর হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কূটক্তি করাসহ ঘুস গ্রহণ ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিন মাস ধরে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল রাখায় ক্ষোভ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির দুশতাধিক সদস্য।

সূত্র জানায়, পরিবহণ পুলের ২৪১ জন চালক পুলের কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ৬ নভেম্বর। এ অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মকর্তা গাড়ি চালকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়ায় তারা পুনরায় অভিযোগপত্র জমা দেন ১৩ নভেম্বর। দুটি অভিযোগপত্রে মোটাদাগে অভিযোগ হলো, আলমগীর হোসেন চৌধুরী দৈনিক মজুরিভিত্তিতে চালক নিয়োগ দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়েছেন। ঘুস গ্রহণের বিষয়ে বেশ কিছু প্রমাণ অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। এছাড়া একজন প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি চালক অবসরে গেলে তদস্থলে নতুন একজন চালক নিয়োগের কথা বলতে গেলে চালক সমিতির নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নাম উচ্চারণ করে তিনি কূটক্তি করেন।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাজেট ব্যবস্থাপনা অধিশাখা) মাসুদুল হাসানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ইতোমধ্যে একাধিক শুনানি করে অভিযোগকারীদের সাক্ষ্য নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব মাসুদুল হাসান মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার শাখায় রুটিনওয়ার্কের কিছুটা চাপ রয়েছে। এজন্য বিলম্ব হচ্ছে।

সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহণ কমিশনার অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীর যুগান্তরকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

এদিকে ভুক্তভোগী গাড়ি চালকরা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, সাধারণত এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া মুখোমুখি সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তদন্ত কমিটির সামনে ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে অনতিবিলম্বে তাকে সরাতে হবে। অভিযুক্ত আলমগীর চৌধুরীর স্থলে তারা ক্যাডার কর্মকর্তা পোস্টিং চান। তা না হলে তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে দোষ প্রমাণ হলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে পালটা অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, ‘এক শ্রেণির গাড়ি চালক ডিউটি না করে বাসায় বসে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন নেন। যাদের কেউ কেউ তেল চোর, কেউ করে মদের ব্যবসা এবং কারও বিরুদ্ধে আছে গাঁজার মামলা। এখন ওদের ধরেছি বলে আমার পেছনে লেগেছে। তদন্ত কমিটিকেও আমি অনেক তথ্য দিয়েছি’।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম