ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন
সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা শুরু তদন্ত কমিটির
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রেবা মন্ডলের কক্ষে এ পর্যালোচনা শুরু হয়। এ সময় কমিটির অন্য চার সদস্য প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মুর্শিদ আলম ও সদস্য সচিব একাডেমিক শাখার উপরেজিস্ট্রার আলীবদ্দী খান উপস্থিত ছিলেন।
অধিকতর তদন্তের জন্য তারা ফের অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও ঘটনাসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যথাযথ সময়ের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিন ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন, বিভিন্ন পর্যায়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে কমিটি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ঘটনার রাতে হলে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী, হলের আয়া ও সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন সবার সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা।
পর্যালোচনার দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টায় কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের তদন্তের কাজ চলছে। আমরা ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও ঘটনাসংশ্লিষ্ট হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আমরা পর্যালোচনায় বসেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আবার ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডাকা হতে পারে।
পরে আবারও তদন্ত কমিটির কার্যক্রম অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ও তদন্ত কমিটির সদস্য ড. দেবাশীষ শর্মার কক্ষে শুরু হয়। বিকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পর্যালোচনার কাজ চলছিল।
ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন ছাত্রীকে গণরুমে নির্যাতন করা হয়। ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার অনুসারীরা এ নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীর।