বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে জলদস্যুদের গুলি
৯ জেলে নিখোঁজ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বয়া এলাকায় একটি মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালিয়েছে জলদস্যুরা।
এ সময় ট্রলারে থাকা ১৮ জেলেকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করা হয়। আকস্মিক এ পরিস্থিতির মুখে প্রাণ বাঁচাতে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এখন তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকালে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলার চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই ট্রলার নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে রওয়ানা দেন। ট্রলারটি বয়া এলাকায় পৌঁছলে সেটিকে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা দেয়। এ সময় ওই ট্রলার থেকে গুলি ছোড়া হয়।
একপর্যায়ে তারা মাছ ধরা ট্রলারে উঠে জেলেদের কুপিয়ে জখম করে। হামলার মুখে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপ দেন। তারা নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলেকে গুলি করার পাশাপাশি কোপানো হয়েছে। এর মধ্যে খোকন, মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিখোঁজরা হলেন-কাইউম জোমাদ্দার, ইয়াছিন জোমাদ্দার, আবুল কালাম, শফিকুল মাঝি, খাইরুল ইসলাম, আবদুল আলীম, ফরিদ ও আবদুল হাই। আরেকজনের নাম জানা যায়নি। আর হামলা থেকে ফিরে আসা জেলেরা হলে-মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রায়হান, আ. করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক। এসব জেলেদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী এলাকায়।
ট্রলার মালিক মনির হোসেন বলেন, প্রায় ১৬ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে দসুরা। তবে সাগরে পড়া জেলেদের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার আ. ছালাম বলেন, আমরা খবর শুনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয় বরিশাল? র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ বলেন, খবর পাওয়ার পর আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভোলা কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার জানান, জেলেদের উদ্ধারে পায়রা বন্দরের কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।